পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডির মামলায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সোমবার এই মামলার শুনানিতে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের বেঞ্চ ইডিকে নোটিস দিয়েছে। ১০ দিন পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পার্থের আইনজীবী মুকুল রোহতগির সওয়াল, পার্থের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর। তাঁর মক্কেল ইতিমধ্যে দু’বছরের বেশি জেলে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন পার্থ।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় আড়াই বছর আগে, ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও।
নিয়োগ দুর্নীতিতে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ২৩ তারিখ পার্থ এবং অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার পরে ওই বছরেরই ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্স’ আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। সঙ্গে প্রচুর টাকার গয়না। ইডি দাবি করেছিল, অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদে মোট ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ৫ কোটি ৮ লাখ টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে সাতটি অন্য দেশের মুদ্রা।
ইডির আরও দাবি ছিল যে, সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এসএসসিতে নিয়োগের মামলায় সিবিআইও পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার করে পার্থ-অর্পিতাকে। এ বার পার্থকে প্রাথমিকে নিয়োগের মামলায় গ্রেফতার করা হতে পারে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সোমবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত ইডির মামলায় পার্থ এবং অর্পিতার শুনানি ছিল।