Firhad Hakim

Firhad Hakim: গণতকার নই, বলছেন ফিরহাদ

বিধানসভায় গোলমালের দিন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছিলেন, মনোজের পাঁজরের হাড়ে চিড় ধরেছে

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২২ ০৭:০৭
Share:

ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

সদ্য বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, সিবিআই তদন্ত প্রভাবিত করতে চাইছে বিজেপি। তাই তাদের প্রতিনিধিরা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, যাতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির (অনুব্রত মণ্ডল) নাম রয়েছে। এ দিন রায়গঞ্জে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও জানান, ঘটনা ঘটলে তদন্ত না করে আগাম কারও নাম জানিয়ে দেওয়ার মতো গণৎকার তাঁরা নন। তিনি বলেন, ‘‘গোলমাল হলে, আমরা বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করি।’’

Advertisement

বগটুই কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এর মধ্যে বিজেপি সাংসদদের একটি দলও ঘটনাস্থল ঘুরে এসে দলীয় ভাবে একটি রিপোর্ট তৈরি করে নড্ডার কাছে জমা দেন। তার পরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভায় দলের সচেতক মনোজ টিগ্গারা তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে। এরই ফাঁকে ফিরহাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে কটাক্ষও করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা বিচার ব্যবস্থার কথা বলছেন। কিন্তু গোটা দেশের মানুষ জানেন কী ভাবে এখানে বিচারব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে।’’ সুকান্তের আরও মন্তব্য, ‘‘রাজ্যের বিধানসভায় যে ভাবে আমাদের বিধায়কদের উপরে হামলা হল, তা নজির খুব কম আছে। তৃণমূলের বিধায়ক বলব না ওঁদের, ওঁরা হার্মাদ।’’

বিধানসভায় গোলমালের দিন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছিলেন, মনোজের পাঁজরের হাড়ে চিড় ধরেছে। এ দিন তিনি যে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তাই নিয়ে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ‘‘তা হলে কি হাড় জোড়া গেলে গেল?’’ জবাবে মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘আমার পাঁজরের হাড় ভাঙেনি বা সরে যায়নি। হাড়ে চিড় ধরেছে। চিকিৎসকরাও জানিয়েছিলেন, পাঁজরের হাড় না ভাঙলে বা না সরে গেলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া সম্ভব। হাড়ে চিড় ধরায় যন্ত্রণা রয়েছে।’’

Advertisement

ফিরহাদ এ দিন নীল-সাদা পোশাক বিতর্ক নিয়ে বলেন, ‘‘স্কুলের পোশাক নীল-সাদা হলে ক্ষতি কী? এই পোশাক থাকলে সবাই বুঝতে, এরা বাংলার সরকারি স্কুলে পড়ে।’’ সুকান্তের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘উনি জানেন না, প্রত্যেক স্কুলের একটা ইতিহাস, ঐতিহ্য আছে। সেই ইতিহাস, ঐতিহ্য মুছে দিতেই এক ধরনের রঙ দিয়ে পোশাক তৈরির নিদান দেওয়া হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement