Firhad Hakim

শহরে নামছে তাপমাত্রার পারদ, এক সপ্তাহে নিয়ন্ত্রণে আসবে ডেঙ্গি, আশাপ্রকাশ মেয়র ফিরহাদের

ফিরহাদ বলেন, “শহরে শীত পড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় মশার লার্ভা আর জন্মাতে পারবে না। আমরা আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেই ডেঙ্গিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৩৬
Share:

ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

এক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেই ডেঙ্গির প্রকোপ কমবে বলে আশাপ্রকাশ করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নভেম্বরে কলকাতায় পারদ পতনের সঙ্গে সঙ্গে মশার লার্ভা আর নতুন করে জন্মাতে পারবে না বলে মনে করছেন তিনি। সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে তাঁর আশা।

Advertisement

শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ বলেন, “শহরে শীত পড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় মশার লার্ভা আর জন্মাতে পারবে না। তাই আমরা আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা এবং সারা রাজ্যেই ডেঙ্গিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।” একই সঙ্গে মেয়র জানান, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নত হয়েছে।

এ বছর ডেঙ্গির প্রকোপে রাজ্যে একাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ না করার অভিযোগ তুলে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এ বিষয়ে মেয়র মুখ না খুললেও তিনি জানিয়েছেন, শীত পড়তে দেরি হওয়ার কারণে ডেঙ্গির প্রকোপ কমছিল না। কিন্তু শহরে উত্তুরে হাওয়ার আগমনে তাপমাত্রা নামার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী লার্ভা জন্মাতে পারবে না বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisement

যদিও স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, ডেঙ্গিতে রাজ্যে মৃত্যুর হার একই জায়গায় আছে। তাঁদের প্রশ্ন, তবে কি স্বাস্থ্য ভবনের জারি করা প্রোটোকল মেনে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ঘাটতি থাকছে? সেই সংশয় থেকেই সরকারি স্তরে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার অনলাইনে বৈঠক করে স্বাস্থ্য দফতর।

ডেঙ্গি প্রতিরোধ কর্মসূচির বিষয়ে বিভিন্ন পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদও। বৈঠকে তিনি নির্দেশ দেন, ওয়ার্ডের সাফাইকর্মীদের নিয়ে সপ্তাহে অন্তত এক দিন এলাকা পরিদর্শন করবেন স্থানীয় কাউন্সিলর। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিও জোরদার করতে হবে। সমস্ত জলাশয় এবং এলাকার সর্বত্র নজরদারি বাড়াতে বলা হয়। যা দেখে চিকিৎসকদের মত, “ডেঙ্গি মোকাবিলায় কোথাও পরিকাঠামোগত ফাঁক থাকছে। তা মেটাতে চাইছে উভয় দফতরই। না হলে নভেম্বর শেষ হলেও মশাবাহিত রোগ মেটার লক্ষণ দেখা যাবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement