ঘুরে চলেছে ভেড়ার পাল। ছবি টুইটার।
আক্ষরিক অর্থে গড্ডলিকা প্রবাহ বলতে বোধহয় এমনটাই বোঝায়। সচরাচর দেখা যায়, ভেড়ার পালে সামনের ভেড়াগুলি যে দিকে যায়, পিছনের ভেড়াগুলিও সে দিকেই যায়। সামনের ভেড়াটিকে অনুসরণ করে বাকিদের চলার এই প্রবণতা দেখেই গড্ডলিকা প্রবাহ বাগ্ধারাটির উৎপত্তি। কিন্তু ১২ দিন ধরে বৃত্তাকার পথে ভেড়ার পালকে ঘুরে যেতে দেখেছে কেউ? মনে হয় না।
উত্তর চিনের মঙ্গোলিয়া প্রদেশে ৪ নভেম্বর থেকে টানা বারো দিন ধরে চক্রাকারে ঘুরে চলেছে ভেড়ার দল। প্রথমে আমেরিকার দৈনিক ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এই খবরটি প্রকাশ করে। পরে চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘পিপলস ডেইলি’ সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ করে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। ভিডিয়োটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, “প্রতিটি ভেড়াই যথেষ্ট শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যবান। কিন্তু তারা এমন আচরণ করছে কেন, সেটা রহস্যের।”
ঘটনাটির এক জন প্রত্যক্ষদর্শী তথা ভেড়াগুলির মালিক নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, প্রথমে চৌত্রিশটির মতো ভে়ড়া চক্রাকারে ঘুরছিল। পরে আরও ভেড়া একই ভাবে ঘুরতে থাকে। মোট একশটির মতো ভেড়া এ ভাবে ঘুরছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়োতে অবশ্য দেখা গিয়েছে, কিছু ভেড়া ওই চক্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, আবার কিছু ভেড়া বৃত্তের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তবে ভেড়াগুলি খাওয়াদাওয়া করছে কি না, জানা যায়নি। কবে ঘূর্ণিপাক থামবে তা বলতে পারছেন না কেউই। তবে এক প্রাণীরোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন লিস্টেরিয়াস নামের এক জীবাণুঘটিত রোগের প্রভাবে ভেড়াদের মধ্যে এমন অদ্ভুত আচরণ লক্ষ করা যায়।