Firhad Hakim

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, গ্রাম্য বিবাদ, সাঁইথিয়ার সংঘর্ষ নিয়ে দাবি মন্ত্রী ফিরহাদের

সোমবার দুপুরে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহরাপুর গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয়। সংঘর্ষের জেরে জখম হন দু’জন। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ২০:২৮
Share:

বিরসা মুণ্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে মঙ্গলবার সিউড়িতে এসেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

সাঁইথিয়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি এবং সংঘর্ষের ঘটনাকে গ্রাম্য বিবাদের জের বলে দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে, এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলা ঠিক হবে না। কারণ, এখন সকলেই তৃণমূল। মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে একটি কর্মসূচির শেষে এমন দাবিই করেন তিনি।

Advertisement

বিরসা মুণ্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে মঙ্গলবার সিউড়িতে এসেছিলেন ফিরহাদ। পরে তিনি বলেন, ‘‘গ্রামে দু’টি মানুষের মধ্যে জল-ধান, নানান বিষয় নিয়ে গ্রাম্য বিবাদ থাকতে পারে। আর এখন সকলেই তৃণমূল। তাই এটাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলা ঠিক হবে না।’’সোমবার দুপুরে সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয়। সংঘর্ষের জেরে জখম হন দু’জন। তাঁদের মধ্যে সাদ্দাম নামে এক জনের ডান হাত ও পা বোমায় উড়ে গিয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান এবং এলাকার আর এক তৃণমূল নেতা তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমাবাজি ও সংঘর্ষ হয়েছে। যদিও ওই দু’পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সাবেরের দাবি, ‘‘গ্রামে বিশৃঙ্খলা ঘটেছিল। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

অন্য দিকে তুষারের পাল্টা দাবি, ‘‘ওটা সাবের’দার গ্রাম। এ বার দল বলতে পারবে, কী হয়েছে। ব্লক সভাপতি যা বলছেন তা স্বাভাবিক। নিজের গ্রামটাই ওঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। আমার ফোন ট্যাপ করলেই বোঝা যাবে আমি কাকে বোমা ছুড়তে বলছি বা অশান্তি করতে বলেছি। আমি শান্তির পক্ষে। এই অভিযোগ শুনে আমার নিজেরই লজ্জা লাগছে। আমি কাউকে গ্রামে গিয়ে মারামারি করতে বলিনি।’’

Advertisement

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বারো জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রামে পুলিশি টহলদারিও শুরু হয়েছে। ঘটনার পর উদ্ধার হয়েছে অন্তত ত্রিশটি বোমাও। যা নিয়ে মঙ্গলবার ফিরহাদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সার্চ অপারেশন করে সমস্ত অস্ত্র বোমা উদ্ধার করার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement