জ্বলছে জঙ্গল।—নিজস্ব চিত্র।
সারা রাত আগুন জ্বলল বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের জঙ্গলে। বুধবার ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) ভাস্কর জেভি বলেন, “প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতীরাই আগুন লাগিয়েছে। থানায় অভিযোগ করা হবে।’’ রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বড় মাপের ক্ষতির খবর মেলেনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আগুন লাগার খবর আসে। বনসুরক্ষা কমিটির লোকজন তা নেভান। রাতের দিকে ভরতপুর, শিউলিবনা গ্রামের দিক থেকে আবার আগুন ছড়াতে শুরু করে। পৌঁছে যায় পাহাড়-চূড়ায় রাজা চন্দ্রবর্মার শিলালিপি পর্যন্ত।
ছাতনার রেঞ্জ আধিকারিক এষা বসু জানান, আগুন যে উচ্চতায় লেগেছিল, সেখানে দমকলের পক্ষে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। বুধবার ভোরে বনসুরক্ষা কমিটি ও পুলিশের প্রায় দেড়শো জন তিনটি দলে পাহাড়ে উঠে আগুন নেভানো শুরু করেন। বেলা ১১টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কত গাছ নষ্ট হয়েছে, রাত পর্যন্ত তা বন দফতর জানাতে পারেনি। শুশুনিয়া পাহাড়ে বড় জন্তু থাকে না। আগুন নেভানোয় শামিল হওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের দাবি, কিছু পাখি এবং সরীসৃপ ঝলসে গিয়েছে। শুকনো কাঠ কুড়োতে যাঁরা যান, অসাবধানে তাঁদের ফেলা বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো থেকে অনেক সময় জঙ্গলে আগুন লাগে। তবে এ ক্ষেত্রে কাঠ পাচার বা শিকারের মতলবে আগুন ধরানোর সম্ভাবনা খারিজ করছে না বন দফতর।