কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শহরে ফরওয়ার্ড ব্লক-এর প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে এবং দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কলকাতায় কৃষক সমাবেশের ডাক দিল বামেরা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ওই সমাবেশ থেকে রাজভবনে প্রতিনিধিদল পাঠানো হবে ‘কালা আইন’ প্রত্যাহারের দাবিতে। তার আগে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শহরে জারিই রয়েছে প্রতিবাদ।
কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখার তরফে অমল হালদার, অভীক সাহা, তপন গঙ্গোপাধ্যায়েরা বুধবার জানিয়েছেন, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ১৬ তারিখ মিছিল আসবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে। সর্বভারতীয় কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে কলকাতার গণতন্ত্রপ্রিয় বড় অংশের মানুষও সে দিনের কর্মসূচিতে শামিল হবেন বলে তাঁদের আশা। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অমলবাবু বলেন, ‘‘গত ২৬ নভেম্বর গ্রামীণ ধর্মঘটে ভাল সাড়া মিলেছে। সেটা ছিল প্রতিবাদের প্রথম ধাপ। এখন পরবর্তী ধাপ শুরু হচ্ছে। আমাদের দাবি, কর্পোরেট-প্রীতির কালা আইন বাতিল করতে হবে!’’ ওই দাবিতে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিন বিভিন্ন সড়কে ধান, আলুর বস্তা ফেলে অবরোধ করবে কৃষক সংগঠনগুলি। কলকাতার সমাবেশের পরেও জেলায় জেলায় প্রতিবাদী জাঠা চলবে। তা ছাড়া, দিল্লির অবস্থানে যোগ দিতে এ রাজ্য থেকেও যাচ্ছে প্রতিনিধিদল।
মোদী সরকারের কৃষি আইনের প্রতিবাদে এ দিনই লাঙল-ফসল নিয়ে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। ধর্মতলার সভায় ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ও ‘কোম্পানি-রাজে’র প্রতিবাদে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে মিছিল ও পদযাত্রা চলবে। ব্লকে ব্লকে তাঁদের অবস্থান হবে ২৩ তারিখ। কৃষক স্বার্থে কলকাতার রাজপথেও প্রয়োজনে অবস্থানের ডাক দিয়ে রেখেছেন নরেনবাবুরা। কৃষি আইনের প্রতীকী প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ-সভায় ছিলেন হাফিজ আলম সৈরানি, গোবিন্দ রায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরা।
একই দাবিতে ও দিল্লিতে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করে আজ শহরে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে এসইউসি-র ‘কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠন’ (এআইকেকেএমএস)। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত করে মিছিল নিয়ে রাজভবনের দিকে যাবে তারা।