সনৎ কর। ফাইল চিত্র।
শান্তিনিকেতন তথা এ দেশের চিত্রকলা জগতের বিশিষ্ট চরিত্র সনৎ করের জীবনাবসান হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে রতনপল্লির বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শিল্পীর স্ত্রী কিছু কাল আগে প্রয়াত হন। তাঁর পুত্র, পুত্রবধূরা রয়েছেন।
চিত্রকলায় নিজস্ব স্বাক্ষর ছাড়াও এ দেশে ছাপাই চিত্র চর্চার একজন পথিকৃৎ ছিলেন সনৎ। কলকাতা সরকারি আর্ট কলেজের ছাত্র। সোসাইটি অব কনটেম্পরারি আর্টিস্টসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সনৎ। অরুণ বসু, সোমনাথ হোর, অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত চক্রবর্তী, শ্যামল দত্ত রায়দের সঙ্গে ছাপাই চিত্র নিয়ে নানা নিরীক্ষায় মেতেছিলেন তিনি। ১৯৭৪ থেকে শিক্ষকতা সূত্রে শান্তিনিকেতনের স্থায়ী বাসিন্দা সনৎ। কলাভবনের গ্রাফিক্স বিভাগের প্রধানও হয়েছেন। শিল্প ইতিহাসবিদ তথা কলাভবনের প্রাক্তন শিক্ষক আর শিবকুমার এ দিন ‘সনৎদা’র স্মরণে সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘তিনি বেঙ্গল স্কুলের কল্পনার ধারার উত্তরাধিকার বহন করতেন, আবার ছাপাই চিত্র বা ইনতালিয়ো প্রিন্টমেকিংয়ের নতুন পথ খুঁজে বের করেছেন। তাঁর চিত্রকলাও একযোগে কাব্যময়তা এবং আধুনিক অস্থিরতার ধারক।” ভাস্কর তথা শিল্প ইতিহাসবিদ জনকঝংকার নার্জারির চোখে এই মৃত্যু “শুধু কলাভবন নয়, সমগ্র শিল্প জগতেরই ক্ষতি।” শিল্পীর দেহ এ দিন কলাভবনে নিয়ে আসা হয়েছিল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফেও ‘আপনজনের’ এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।