মিহির সেনগুপ্ত। ফাইল চিত্র।
দেশভাগ, হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের অভিযাত্রা ছুঁয়ে বাঙালির যাপনের ইতিহাসকার, লেখক মিহির সেনগুপ্তের জীবনাবসান হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। কিছু দিন হল ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রবীণ লেখকের স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছেন।
পেশায় ছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী। মধ্যজীবনে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ মিহিরের। আত্মজৈবনিক গদ্য ‘বিষাদবৃক্ষ’-এর জন্য তিনি আনন্দ পুরস্কার পেয়েছিলেন ২০০৫ সালে। তাঁর শৈশবের দেশ বরিশালকে আজীবন লেখনীর মধ্যে বহন করেছেন মিহির। ‘ভাটিপুত্রের পত্র বাখোয়াজি’, ‘সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম’, ‘ধানসিদ্ধির পরনকথা’, ‘ভাটিপুত্রের বরিশালি গদ্যসংগ্রহ’ প্রমুখ নানা লেখার মধ্যে বার বার বুনে দিয়েছেন বরিশালের ভাষা ও আখ্যান।
তাঁর লেখা উস্কে দিয়েছিল আর এক বরিশাইল্যা, সুলেখক ইতিহাসবিদ তপন রায়চৌধুরীকেও। তপন লেখেন, ‘এই পোলায় যে ফাউকাইছে, এ্যাহন য়্যারে লইয়া কী করন যায়। আসলে পোলায় খারাপ ল্যাহে নাই। বইয়ে আমার ভুল হুধরাইছে, বইরহালের বিক্রম লইয়া ম্যালা কথা!’ মহাভারত নিয়েও লেখালেখি করেছেন মিহির। কিন্তু বরিশালের কথাই মিহিরের লেখার কেন্দ্রে থাকবে।