উত্তরবঙ্গেও প্রতারণা চক্র শুরু করেছিলেন দেবাঞ্জন দেব।
জাল টিকা কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব শিলিগুড়িতেও প্রতারণার জাল বিছিয়েছিলেন। টি বোর্ডের ধাঁচে পর্ষদ তৈরি করার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন তিনি। সেই টাকা আর ফেরত আসেনি। টাকা না পেয়ে দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতেও গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির এক বাসিন্দা। তবে সেখানে দেবাঞ্জনের বাড়ির নেমপ্লেটে 'আইএএস' পরিচয় দেখে তিনি আশ্বস্ত হন। পরে জাল টিকা কাণ্ডে দেবাঞ্জনের নাম দেখে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
শিলিগুড়ির ওই বাসিন্দার নাম সৌভিক মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দেবাঞ্জনের। নিজেকে আইএএস বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। পরে সৌভিকের সঙ্গে দেখা করতে শিলিগুড়িতেও যান দেবাঞ্জন।
সৌভিক জানিয়েছেন, তাঁকে ২টি গান লিখে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন দেবাঞ্জন। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে কালিম্পংয়ের একটি ট্যুরিস্ট লজেও যান তিনি। কালিম্পংয়ের চা বাগানের সমস্যা নিয়ে টি বোর্ডের ধাঁচের আলাদা পর্ষদ করার কথা বলেন। এমনকি, সৌভিককে সেই পর্ষদের প্রধানের দায়িত্বে বসানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন।
এর কয়েক মাস পরেই ২০১৮ সালে সৌভিকের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ধার নেন দেবাঞ্জন। সৌভিক জানিয়েছেন, তার মধ্যে এক লাখ টাকা শোধ করলেও বাকি টাকা আজও ফেরত পাননি তিনি।
তা হলে এত দিন পরে কেন সৌভিক প্রকাশ্যে আনলেন বিষয়টি? শিলিগুড়ির বাসিন্দা জানিয়েছেন, টাকা চাইতে দেবাঞ্জনের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে তাঁর বাড়ির নেমপ্লেটে 'আইএএস' পরিচয় দেখে আশ্বস্ত হয়ে ফিরে আসেন। পরে জাল টিকা কাণ্ডে দেবাঞ্জনের নাম দেখে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।