থিম সিটি বা উপনগরী তৈরির ক্ষেত্রে জট কাটাতে নির্মাণ সংস্থাকে অবাধ সুবিধা করে দিল রাজ্য সরকার। ঠিক হয়েছে, উপনগরী তৈরির ক্ষেত্রে ‘গ্লোবাল এফএআর’ বা ফ্লোর এরিয়া রেসিও মানা হবে। নবান্নের এক কর্তা এর ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, বর্তমান নিয়মে রাস্তার পরিসরের অনুপাতে আবাসনের এফএআর ঠিক হয়। থিম সিটির ক্ষেত্রে উপনগরীর মোট জমির পরিমাণের উপর এফএআর ঠিক হবে। পাশাপাশি, শুধু বিল্ডিং প্ল্যানের ভিত্তিতেই উপনগরী প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হবে।
নবান্নের কর্তাদের দাবি, এর ফলে নির্মাণের জায়গা অনেকটাই বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে থিম সিটি বা উপনগরী প্রকল্পে বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, তা অনেকটাই কাটবে। সম্প্রতি রাজ্যে শিল্প ও পরিকাঠামো বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর।
নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাই-এর পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা সুশীল মোহতা বলেন, ‘‘মঙ্গলবারই রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন নবান্নে বলেন, ‘‘জটিলতা থাকলে উপনগরী প্রকল্পের কাজ আটকে যাবে। এখন জটিলতা কেটে যাবে। প্রকল্পও দ্রুত অনুমোদন পাবে।’’
নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, সরকারের নতুন নিয়মে থিমভিত্তিক শহর নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের মোট জমির ২৫ শতাংশে কোনও আবাসন গড়া যাবে না। উদাহরণ হিসেবে ওই কর্তা জানান, কোনও সংস্থা স্বাস্থ্য-নগরী তৈরি করতে চাইলে তাকে মোট জমির অন্তত ২৫ শতাংশে ওই বিষয়ক পরিকাঠামোই গড়তে হবে। অর্থাৎ হাসপাতাল, বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো। বাকি জমিতে তিনি বা সেই সংস্থা আবাসন-সহ অন্যান্য প্রকল্প করা তৈরি করতে পারবে। তবে থিম সিটি হোক বা উপনগরী— প্রতিটি প্রকল্পেই আবাসন প্রকল্পের পাশাপাশি চিকিৎসা পরিকাঠামো, স্কুল ও কলেজ, বাণিজ্যিক ভবন ও বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক।