বুধবার কলকাতায় অভিযোগ শুনতে প্রতিনিধি দল। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির উদ্যোগে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এসেছেন রাজ্যে। লক্ষ্য, বাংলায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে অভিযোগের সরেজমিন খোঁজ। মঙ্গলবার কলকাতায় এলেও বুধবার বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ওই দলের সদস্যেরা। তার মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা চাকরিপ্রার্থীরাও। এর পরে ওই দল বৃহস্পতিবার শিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে চায়। তার জন্য আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া রয়েছে কি না তা জানা যায়নি। কিন্তু অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্ভব কি? বাধার মুখেও তো পড়তে হতে পারে! এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওই দলের সঙ্গে যুক্ত রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘আমরা দলের পক্ষ থেকে তথ্য ও নথি দিয়ে সাহায্য করছি মাত্র। ওঁরা কোথাও যেতে চাইলে সেই চেষ্টা ওঁরাই করবেন।’’
‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’ নামে ওই সংগঠনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস রাজপাল সিংহ, মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত কাজ করা আইনজীবী চারু ওয়ালি খান্না, সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক এবং দুই আইনজীবী ওমপ্রকাশ ব্যাস এবং রোজি তাবা। মঙ্গলবার চাকরিপ্রার্থী থেকে আইনি বাধার মুখে পড়া ব্লগার ও ইউটিউবারদের সঙ্গেও কথা বলেন ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা। কলকাতায় ‘ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর কালচারাল রিলেশনস’ (আইসিসিআর)-এ ওই দলের সঙ্গে কথা বলতে আসেন কয়েক জন চিকিৎসক ও সরকারি কর্মী। যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা সকালেই অতীতে শাসক দলের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কাজের ক্ষেত্রে নানা বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই দলের প্রতিনিধিরা ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের একটি ধর্না মঞ্চেও যাবেন।
বিজেপি অবশ্য এই সত্য অনুসন্ধান দলের সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগ অস্বীকার করেছে। তবে ওই দল আসার আগেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। লক্ষ্য ছিল প্রতিনিধি দলকে সাহায্য করা। সুকান্তের তৈরি করা কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী, দুই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ এবং আর েকে হান্ডা। রয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সংগঠনের পক্ষে তিন নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, মধুছন্দা কর এবং শিশির বাজোরিয়া।