ঘটনাস্থলে সিআইডি। নিজস্ব চিত্র।
মন্ত্রী জাকির হোসেন যখনই কলকাতা যান, প্রত্যেকবার আমরা মন্ত্রীকে ট্রেনে তুলে দিতে যাই। বুধবার রাতেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এমন কাণ্ড হবে, কেউ ভাবিনি।
নিমতিতা রেলগেটে মন্ত্রী আসার আগে সাড়ে ন’টা থেকেই আমরা বন্ধুরা মন্ত্রীকে ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। মন্ত্রী ঢুকতেই স্লোগান দিতে দিতে আমরা মন্ত্রীকে নিয়ে নিমতিতা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছই। তখন ফেসবুক লাইভও করা হচ্ছিল। আমরা জাকির হোসেনের আগে-পিছে ছিলাম। সব মিলিয়ে অনেক ছেলেপিলে ছিল। আমাদের সঙ্গে মন্ত্রীর ভাগ্নেও ছিল। মন্ত্রী থাকায় ভিড় হয়েছিল, তাই আমি আগে আগে লোকজন সরাতে সরাতে যাচ্ছিলাম।
তার পরে প্ল্যাটফর্মে উঠলাম। প্ল্যাটফর্মের উপরেই একটি ব্যাগ ছিল, সেটা আমি দেখেছিলাম। ছেলেদের বললাম ওই ব্যাগটা সরাতে। স্টেশনের বোর্ডও পার করিনি, কিছুটা যাওয়ার পরেই একটা প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। আমার ধারণা, ব্যাগটা নাড়াচাড়া করতে করতেই মনে হয় বিস্ফোরণ ঘটে যায়। অন্য কোনও ভাবেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তবে আমরা কেউ রেললাইনে ছিলাম না। সবাই এক সঙ্গে প্লাটফর্মেই ছিলাম। বাইরে থেকেও কোনও বোমা পড়েনি। আমার ধারণা, প্ল্যাটফর্মেই বোমাটা ছিল। বিস্ফোরণও একটাই হয়েছে। আমি তাতে আহত হয়েছি। শুনছি অনেকেই আহত হয়েছে। এত বড় বিস্ফোরণ দেখিনি কখনও। বিশাল আগুনে এলাকা ছেয়ে গিয়েছিল। চারদিকে শুধু কান্না আর চিৎকার। আমি আমার ভাই, দাদাদের ফোন করে ডেকে নিয়েছিলাম। তাঁরা এসে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
(লেখক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি অরঙ্গাবাদ থানার চাদরা গ্রামের বাসিন্দা)