ফাইল ছবি
চরম নাটকীয়তায় শেষ হল নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। হাই কোর্টে হাজিরা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন-র (এসএসসি) তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য। তাঁদের কাঠগড়ায় তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন বিচারপতি।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে দুই আধিকারিককে কাঠগড়ায় ডেকে আলাদা করে শপথ বাক্যপাঠ করান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। সচরাচর কলকাতা হাই কোর্টে আসামীকে কাঠগড়ায় তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় না। এই ক্ষেত্রেই দু’জনকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়। এজলাসের বাইরে বিচারপতিদের বারান্দায় বসানো হয় শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। ফোনও জমা করতে হয় আইনজীবীর কাছে।
আদালত বলে, এসএসসি-র তৎকালীন উপদেষ্টা ও প্রোগ্রাম অফিসারের বক্তব্য পরস্পর বিরোধী। প্রোগ্রাম অফিসারের বক্তব্য, তিনি উপদেষ্টার মৌখিক নির্দেশে সুপারিশপত্র দিয়েছেন। অন্য দিকে উপদেষ্টার বক্তব্য, তিনি সুপারিশপত্রের বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেননি।
জেরার প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য বলেন, বিতর্কিত সুপারিশপত্র ছাপানোর নির্দেশ তৎকালীন চেয়ারম্যান দেননি। এই নির্দেশ দিতেন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা । ২০১৯-এর শেষ দিক থেকে তিনি এই ধরনের মৌখিক নির্দেশ দিতেন। সরকারি নির্দেশ ছিল এবং চেয়ারম্যান বলেছিলেন যে, উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।
এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শান্তিপ্রসাদ সিনহা ছাড়া এসএসসি-র পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিতে আর কেউ নেই যিনি এসএসসি-র সঙ্গে যুক্ত ।
এর পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘‘ নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি সামনে এসেছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। নিরপেক্ষ সংস্থা বা কোনও নিরপেক্ষ কমিটি দিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়দান।