মমতা বলেন, ‘‘শিল্প এবং কর্মসংস্থান আমাদের লক্ষ্য। এটা আমাদের করতে দিন।’’
এ বার ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার বিকেলে মমতা বারাণসীর উদ্দেশে রওনা দেন। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের শিল্পের উন্নতিতে বাধা দিচ্ছে বিরোধীরা। বিরোধীরা একসঙ্গে বসে ডেউচা-পাঁচামির প্রকল্পের কাজে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মমতা অভিযোগ করেন।
বুধবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ফল প্রকাশিত হয়েছে। একশোর বেশি পুরসভা গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। বিরোধীরা প্রায় কোথাও তেমন ভাবে দাঁত ফোটাতেই পারেনি। সেই আবহে মমতার মন্তব্য, ‘‘আমি শুনেছি তিনটি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে বলেছে, ডেউচা-পাঁচামি করতে দেব না, তাজপুর করতে দেব না, তা হলে আগামী ২০ বছরেও আমরা ক্ষমতায় আসব না।’’
পুরভোটে জয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রথমেই মমতা বলেছিলেন, বাংলার লক্ষ্য শিল্প এবং কর্মসংস্থান। এর পরেই আসে ডেউচা-পাঁচামি এবং তাজপুরের প্রসঙ্গ। বিধানসভা ভোটের আগেই মমতা এই দু’টি প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। ডেউচায় ইতিমধ্যেই কয়লাখনি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে রাজ্য। তাজপুরে শুরু হয়েছে বন্দর তৈরির কাজ। এর মধ্যে ডেউচা-পাঁচামির কাজ কিছুটা এগিয়েওছে। অনেকেই প্রকল্পের জন্য স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের দাবি, জমিদাতাদের বাজার মূল্যের থেকেও বেশি দাম দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চেকও তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের হাতে। জমিপ্রদানকারী পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয়েছে চাকরিও।
বুধবার ডেউচা পাঁচামির কাজে বাধা দেওয়া নিয়ে তিন দলের বৈঠক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রথমে বিজেপি-কে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘তোমরা তো সেন্ট্রালে ক্ষমতায় আছে, তা তোমরা ক’টা কর্মসংস্থান তৈরি করতে পেরেছ? ক’টা শিল্প করতে পেরেছ?’’ শিল্প নিয়ে এর পর সিপিএমকেও কটাক্ষ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা মিছিল মিটিং বিক্ষোভ করে এসেছেন ৩০ বছর ধরে। এ সব করে আপনারা বাংলার অর্থনীতিকে শুধু পঙ্গু করে দিয়েছেন তা-ই নয়, আপনারা কর্মসংস্থান করেননি, কৃষি করেননি, শিল্প করেননি, কোনওটাই করেননি।’’
বাংলায় শিল্প নিয়ে বিরোধীদের অবস্থানের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘‘শিল্প এবং কর্মসংস্থান আমাদের লক্ষ্য। এটা আমাদের করতে দিন।’’