ছবি:
বামেদের সঙ্গে জোট অটুট রাখার বার্তা আগেই দিয়েছেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী। এ বারে আরও একধাপ এগোলেন রাহুল। তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত জনতার সামনে মেলে ধরার নির্দেশ দিলেন তিনি।
আব্দুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সিরা আজ সকালে রাহুলের বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করেন। এর আগে অধীর চৌধুরী, ওম প্রকাশ মিশ্রর মতো নেতারা যখন রাহুলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তাঁদের কাছে জোট ধরে রাখারই পরামর্শ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। এ বারে নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাংলার নেতাদের রাহুল বললেন, পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করছেন। তাতে তৃণমূলেরই সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখতে সুবিধা হচ্ছে। কিন্তু দিল্লিতে, সংসদে দেখা যাচ্ছে উভয় দলের মধ্যে বোঝাপড়া চলছে। বিভিন্ন আসনেও দেখা গিয়েছে দুই দলের মধ্যে সমঝোতার চিত্রটি। ফলে উভয়ের এই আঁতাতের মুখোশ খুলে প্রচার করতে হবে। আর যাই হোক, বামেরা বিজেপির সঙ্গে কোনও দিন যাবে না। ফলে বামেদের সঙ্গে নিয়েই আন্দোলন আরও সংগঠিত করতে হবে।
রাহুল জানেন, পশ্চিমবঙ্গে এইমুহূর্তে কংগ্রেসের সব থেকে বড় সমস্যা হল সাংগঠনিক দুর্বলতা। বামেদের সংগঠন থাকলেও ৩৪ বছরের শাসনে মানুষের যে ভাবে মোহভঙ্গ হয়েছে, সেই আস্থা ফেরাতে এখনও সময় লাগবে। রাহুল আজ জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি জোট বানানোর চেষ্টা হয়েছে। এই জোট আরও আগে হলে হয়ত ফল আরও ভালো হত। তাই এখন থেকে বামেদের সঙ্গে জোট গড়েই যাতে আন্দোলন আরও সংগঠিত করা যায়, সেটি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। এই আন্দোলনের মধ্যে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। বিশেষ করে যে ভাবে মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে, সেগুলির বিরুদ্ধেও আন্দোলন করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন।
জোট ধরে রাখার ব্যাপারে সনিয়া ও রাহুলের মনে এখনও কোনও সংশয় না থাকলেও সিপিএমে প্রকাশ কারাটরা যে ভাবে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন, তা নিয়ে একটু সংশয় রয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ড। আজও বাংলার নেতাদের কাছে খোঁজ নেন, সিপিএম কী শেষপর্যন্ত জোট ধরে রাখতে চাইবে? বাংলার নেতারা তাঁকে জানান, ভোটের পরেও যে ভাবে তৃণমূলের হিংসা ছড়াচ্ছে, তাতে সিপিএমের পক্ষেও জোট ধরে রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। বাংলার সিপিএমও জোটের পক্ষে এবং তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে সওয়াল করার জন্যও তারা প্রস্তুত হচ্ছে।
আরও পড়ুন