দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না। কাউন্সেলিং শুরু হলেও ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলের গোলমালের ঘটনা পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ারই গতি শ্লথ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-তে বারবার চেয়ারম্যান বদলের ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শিক্ষকপদের প্রার্থীরা।
স্কুলশিক্ষা দফতরের খবর, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব এসএসসি-র। কিন্তু ২০১৫ থেকে এ-পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি কমিশন। নবম-দশমে প্রার্থীদের কাউন্সেলিং শেষ হলেও নিয়োগ হয়নি। একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ করতে গিয়েও ভুল ধরা পড়ে। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের কাউন্সেলিং কবে হবে, সেই বিষয়ে তো কিছু বলতেই পারছে না কমিশন। এই অবস্থায় ফের চেয়ারম্যান বদল নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হচ্ছে।
এ বছরের মাঝামাঝি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে শর্মিলা মিত্রকে ওই পদে আনা হয়। তার কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হয় নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং। একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ শুরু হয়। তার মধ্যেই দাড়িভিটের স্কুলে নিয়োগকে ঘিরে গোলমালে দুই যুবকের মৃত্যুর পরে থমকে যায় গোটা প্রক্রিয়াই। একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগে কিছু ভুল ধরা পড়ে। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় এসএসসি-র ভূমিকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি।
এক প্রার্থী বলেন, ‘‘যে-ভাবে প্রক্রিয়া এগোচ্ছিল, মনে হয়েছিল, চলতি বছরেই উচ্চ প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ স্তরে শিক্ষক নিয়োগ শেষ হবে। কিন্তু যে-ভাবে ফের চেয়ারম্যান বদল হল, তাতে সন্দেহ হচ্ছে, কমিশনের অন্দরেই পরিস্থিতি ঠিক নেই। ফলে নিয়োগ যে বিশ বাঁও জলে, তা স্পষ্ট।’’ শিক্ষকপদ প্রার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে শর্মিলাদেবীর পক্ষেই সায় দিয়েছেন অধিকাংশ সদস্য। শিক্ষক-নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রায় ছ’বছর শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। তার উপরে এসএসসি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ কমিশনে চেয়ারম্যানের চেয়ার নিয়ে যে-ভাবে ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ খেলা চলছে, সেটা দুর্ভাগ্যের। এতে ভোগান্তি হবে চাকরিপ্রার্থীদেরই।’’