ফাইল চিত্র
করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় পঠনপাঠনে দীর্ঘ অনভ্যাসের পরে কী ভাবে সব স্তরের ছাত্রছাত্রী এ বার অফলাইনে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে, পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, এমনকি অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাও তা নিয়ে দুর্ভাবনায় ছিলেন। পাঠ্যক্রম সংক্ষিপ্ত করে জানানো হয়েছিল, সব দিক মাথায় রেখেই প্রশ্ন করা হবে। কিন্তু শুক্রবার ইতিহাসের প্রশ্ন বেশ কঠিন তো বটেই, এমনকি রীতিমতো অবৈজ্ঞানিক ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, এই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে মেধাবী পড়ুয়াদের কথা ভেবে। মধ্য ও নিম্ন মেধার ছাত্রছাত্রীদের কাছে এ দিনের ইতিহাস প্রশ্ন অত্যন্ত কঠিন।
বেথুন স্কুলে পরীক্ষার শেষে এক ছাত্রী অভিযোগ করল, পাঠ্যবই ভাল ভাবে পড়েও ঠিকমতো উত্তর লিখতে পারেনি সে। অনেয কয়েক জন ছাত্রীর বক্তব্য, সরাসরি নয়, প্রশ্ন করা হয়েছে অনেক ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ জানান, যারা শুধু পাঠ্যবই পড়ে বা গতানুগতিক ভাবে পড়তে অভ্যস্ত, চার নম্বর প্রশ্নের উত্তর দিতে তাদের রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘গ্রামবাংলায় বহু সাধারণ ছাত্রছাত্রী উত্তর লিখতে না-পেরে বসেছিল। কোভিড অতিমারির আবহে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পরে পড়ুয়ারা যখন জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসছে, তখন এই ধরনের প্রশ্ন অসংবেদনশীলতাকেই প্রকাশ করে।’’
বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন প্রশ্ন কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘শুধু পাঠ্যবই পড়লে হবে না। সহায়িকা বই না-পড়লে এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর লেখা মুশকিল।’’
প্রশ্ন খুব কঠিন হয়েছে বলে যে-অভিযোগ উঠছে, সেই ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসের উত্তর দেননি।