—ফাইল চিত্র।
আগামী বছর মহালয়ার একমাসেরও বেশি সময় পরে পুজো। পুজো পিছিয়ে যাওয়ায় স্কুলের ‘অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার’-এ রদবদল করতে হবে বলে মত শিক্ষক মহলের একাংশের। মহালয়া ১৭ সেপ্টেম্বর। ষষ্ঠী ২২ অক্টোবর। দুর্গাপুজোর পরে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো ভাইফোঁটা শেষ হতে নভেম্বর। স্কুলগুলোতে পুজোর ছুটি চলে ভাইফোঁটা পর্যন্ত। পুজোর ছুটি দেরিতে পড়লে তা নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলবে। নভেম্বরেই হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির তৃতীয় পর্যায়ের মূল্যায়নও হয় নভেম্বরেই। তা হলে কি টেস্ট ও স্কুলের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্কুলে পুজোর ছুটি কমিয়ে দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর মাঝে স্কুল খুলতে হবে? বদলাবে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার?
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ বছর টেস্ট নভেম্বরে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির তৃতীয় পর্যায়ের মূল্যায়নও হবে ওই মাসে। এ বার পরীক্ষার সূচি যেমন, তেমন সূচি যদি আগামী বছরও থাকে তা হলে দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর মধ্যে স্কুল খুলে অন্তত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট নিয়ে নিতে হবে।’’
হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানান, আগামী ডিসেম্বরের শেষে পরের বছরের অ্যাকেডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হবে। সেখানেই ছুটি ও পরীক্ষা সূচি জানানো হবে।’’
শিক্ষক মহলের একাংশের মতে, পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির কথা ভেবেই মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা সাধারণত পিছনো হয় না। সে ক্ষেত্রে আগামী বছর যদি নভেম্বরেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট নিতে হয় তা হলে লক্ষ্মী পুজো ও কালীপুজোর মাঝে টেস্ট পরীক্ষা নিতে হবে। অন্য ক্লাসের পরীক্ষা কিছুটা পিছনো যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘স্কুলের ছুটি কমিয়ে নভেম্বরের মধ্যেই টেস্ট পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুত হতে সুবিধা হবে।’’ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’