ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন বিধায়কদের অসুবিধা, সমস্যা মেটানোর লক্ষ্যে এ বার সংগঠন তৈরি হল রাজ্যে। কর্নাটকের পরে প্রাক্তন বিধায়কদের নিয়ে এমন মঞ্চ বা সংগঠন বাংলাতেই দ্বিতীয়। সংগঠনের পোশাকি নাম হয়েছে ‘ডব্লিউবিএলএ এক্স-মেম্বার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। ভারত সভা হলে বুধবার প্রথম কনভেনশনের পরে অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি-দাওয়ারর কথা জানিয়ে এসেছেন। প্রাক্তন বিধায়কদের দাবির বিষয়ে বিধানসভার এনটাইটেলমেন্ট কমিটিতে আলোচনা হবে বলে স্পিকার প্রাথমিক ভাবে আশ্বাস দিয়েছেন।
এমন সংগঠনের উদ্যোগ এসেছে বামেদের তরফেই। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের দুই প্রাক্তন বিধায়ক তারাপদ চক্রবর্তী ও গোবিন্দ রায়। সংগঠনের অস্থায়ী দফতর হিসেবে আপাতত ফ ব-র রাজ্য দফতর হেমন্ত বসু ভবনের ঠিকানাই ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাক্তন বিধায়কেরা এ রাজ্যে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পেনশন ও চিকিৎসা ভাতার ৬ হাজার টাকা ধরে মাসে সর্বাধিক ১৮ হাজার টাকা পেতে পারেন। স্পিকারের কাছে অন্যান্য রাজ্যের খতিয়ান দিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, প্রাক্তনদের মাসিক পাওনা বাড়িয়ে ৪০ হাজার করা হোক, যার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা থাকবে। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে গোবিন্দবাবু, তারাপদবাবু, ইদ মহম্মদেরা এ দিন স্পিকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, বিধানসভায় নানা কাজ নিয়ে আসা প্রাক্তন বিধায়কদের বসার জন্য একটি ঘরের বন্দোবস্ত করা হোক।
প্রথম কনভেনশনে এ দিন সিপিএম, ফ ব, আরএসপি-র মতো বাম শরিক দলের পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রতিনিধিও ছিলেন। এমন অ্যাসোসিয়েশনে তৃণমূল কংগ্রেসকে রাখতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন গোবিন্দবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রাক্তন বিধায়কদের সমস্যা ও অভাব-অভিযোগের সুরাহা করার লক্ষ্যে এমন মঞ্চ গড়ার ভাবনা। সেখানে জাত, ধর্ম, বর্ণ বা রাজনৈতিক রং কোনও কিছুর বিভেদ নেই।’’