নিরাপদ সর্দার। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। সন্দেশখালিতে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রবিবার তাঁকে সন্দেশখালি এবং বাঁশদ্রোণী থানা যৌথ ভাবে আটক করে। অন্য দিকে, সন্দেশখালিতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে জামিন দিল আদালত।
রবিবার আটকের পর নিরাপদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছি বাঁশদ্রোণী থানায়। তাঁর আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। হাতে সিপিএমের ঝান্ডা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তাঁরা।
সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ-সহ ১১৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ ওরফে শিবু হাজরাকে খুনের চেষ্টা, উস্কানি দেওয়া, বেআইনি জমায়েত করে অপরাধ সংগঠিত করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভে অংশ নিতে বলা, অশান্তি সৃষ্টিতে প্ররোচনা দেওয়া এবং বিক্ষোভ করে পুলিশকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে।
গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হন ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকেরা। আঙুল ওঠে শাহজাহান ‘অনুগামী’-দের দিকে। সেই থেকে নিখোঁজ তৃণমূল নেতা। শাহাজাহান-সহ তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এলাকায় ‘অত্যাচার’-এর অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। ওই তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন। সেই বিক্ষোভের সামনের সারিতে ছিলেন মহিলারা। বাঁশ, কাটারি, দা, হাতা, খুন্তি, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সন্দেশখালিতে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে এক পোলট্রি খামারে। বাদ যায়নি তৃণমূল নেতার বাগানবাড়িও। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের জমি জোর করে দখল করে ওই ফার্ম তৈরি করেছেন তৃণমূল নেতারা। এ সবের নেপথ্যে উস্কানির অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ এবং বিজেপি নেতা বিকাশের দিকেও। নিরাপদকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠাল আদালত। যদিও বিকাশকে জামিন দেওয়া হয়েছে।