Adhir Chowdhry

মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা অধীরের চিঠি কাজে এল না, দলবদলে রানিনগরে পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের

রবিবার বহরমপুরের জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে এসে কংগ্রেসের দুই বিজয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য যোগদান করলেন শাসকদলে। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রানিনগরের তৃণমূল বিধায়ক সৌমিক হোসেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২৩
Share:

শেষরক্ষা হল না অধীরের। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও হাতছাড়া রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া জোটের। ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেও শেষরক্ষা করতে পারলেন না অধীর চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে নিল তৃণমূল। রবিবার বহরমপুরের জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে এসে কংগ্রেসের দুই বিজয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য যোগদান করলেন শাসকদলে। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রানিনগরের তৃণমূল বিধায়ক সৌমিক হোসেন। তাঁদের তৃণমূলে স্বাগত জানান বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়।

Advertisement

রবিবারই রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনে আশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু সেই চিঠি দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে নিল তৃণমূল। যদিও পঞ্চায়েত ভোটে জোটে থেকে লড়াই করে এই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল সিপিএম ও কংগ্রেস জোট। উল্লেখ্য, রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ২৭। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ১৩টি। বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে ছিল ১৪টি। সোমবার পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনের কথা। তার আগে শনিবার তৃণমূল ও জোটের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার উল্লেখ করেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন অধীর। রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য হানিফ শেখ এবং ঊর্মিলা খাতুন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। পাশাপাশি ওই ব্লকের কাতলামারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান মাহফুজা বিবিও তৃণমূলে যোগ দেন।

গত শুক্রবার রানিনগরে জনসভা করতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই সভাকে কেন্দ্র করেই গোলমালের সূত্রপাত। শুক্রবারের পর পঞ্চায়েত সমিতি গঠন নিয়ে শনিবারেও রানিনগর ছিল উত্তপ্ত। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই রবিবার কংগ্রেসের দুই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দলবদলের ঘটনা ঘটে। রবিবার নিজেদের পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পথ প্রশস্ত করে ফেলে তৃণমূল। তাতেই রানিনগরে সংঘর্ষের সমাপ্তি হবে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কংগ্রেস ও বামেদের একযোগে অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের অপব্যবহার করেই পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের দলবদল করানো হয়েছে। তবে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement