Suvendu Adhikari

Narada Scam: শুভেন্দুকে ছাড় নিয়ে সরব তাঁর নিজের জেলাও

শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হল না, এই প্রশ্ন তোলেন নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল নিজেও

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২১ ০৬:২৫
Share:

ফাইল চিত্র।

অভিযোগ তো একই। তবে ওঁকে ছাড় কেন? বিজেপি বিধায়ক বলে?

Advertisement

নারদ মামলায় সোমবার সাতসকালে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্রের মতো তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে দিনভর এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেল নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলায়। শুভেন্দুর বাড়ির এলাকা কাঁথি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের নানা প্রান্তে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বামেরাও এ নিয়ে সরব হয়েছে।

শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হল না, এই প্রশ্ন তোলেন নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল নিজেও। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর করা স্টিং অপারেশনের ভিত্তিতেই এই দুর্নীতির মামলা। বেলা গড়াতে তৃণমূলের তরফেও একই প্রশ্ন তোলা হয়। কারণ ওই ভিডিয়োয় শুভেন্দুকেও টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ফলে, এ দিন ফিরহাদ, মদন, সুব্রতরা গ্রেফতার হতেই পথে নামার তোড়জোড় শুরু করেন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। কাঁথিতে রাজ্যের নতুন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ির সামনে জমায়েত করেন অনেকে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল, অধিকারী বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-র সামনে বিক্ষোভ হবে। কারণ, দিনভর শুভেন্দু বাড়িতে ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। তবে দুপুর নাগাদ যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে দলীয় নেতা-কর্মীদের করোনা বিধি মেনে জমায়েত না-করার নির্দেশ দেন। সেই মতো ‘শান্তিকুঞ্জ’-র সামনে আর বিক্ষোভ হয়নি। তবে শুভেন্দুর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে কাঁথি শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে পথ অবরোধ হয়। নেতৃত্বে ছিলেন জেলা পরিষদের কো-মেন্টর হাবিবুর রহমান।

Advertisement

শুভেন্দুর গ্রেফতারের দাবিতে তমলুকের হাসপাতাল মোড়, সুতাহাটা, চৈতন্যপুর, পাঁশকুড়া, ভগবানপুরের নতুন রাস্তার মোড়-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলা আইন মেনে জমায়েত সরানোর চেষ্টা হয়েছে।’’

জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই রাজ্য বিজেপি নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে নারদ-কাণ্ডের ভিডিয়োয় শুভেন্দুর অংশ মুছে ফেলে। তাঁদের আরও বক্তব্য, এ দিনের পরে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে শুভেন্দু মামলা থেকে বাঁচতেই বিজেপিতে গিয়েছেন। রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘মন্ত্রী, বিধায়কদের সরাসরি গ্রেফতারের ক্ষেত্রে যা যা নিয়ম রয়েছে, তার কিছুই মানা হয়নি। আইন তো সকলের জন্য একই হওয়া দরকার।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিও বলছেন, ‘‘যে ভাবে বেছে বেছে তৃণমূলের মন্ত্রী ও নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট সিবিআই পুরোপুরি বিজেপি দ্বারা পরিচালিত।’’

বিজেপির কাঁথি এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিরা এ দিন ফোন ধরেননি। প্রতিক্রিয়া জানাননি শুভেন্দু। শিশির অধিকারীরও বক্তব্য, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করব না।’’ বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল শুধু বলেন, ‘‘এতে প্রভাব খাটানোর কিছু নেই। সিবিআই স্বাধীন সংস্থা হিসাবে কাজ করে। ওরা কাকে, কোন মামলায়, কখন গ্রেফতার করবে সেটা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement