West Bengal government

কমিশন বলার পরেও কার্যকর হয়নি বদলি

আধিকারিক-বদলি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরেই ২৫ ফেব্রুয়ারি তড়িঘড়ি কয়েক জন জেলাশাসকের বদলির নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪ ০৭:৪৫
Share:

নবান্ন। — ফাইল চিত্র।

পাঁচ দিনেও কার্যকর হল না নবান্নের বদলি নির্দেশিকা! জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার আগে এ নিয়েই জল্পনা দানা বেঁধেছে প্রশাসনের অন্দরে।

Advertisement

আধিকারিক-বদলি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরেই ২৫ ফেব্রুয়ারি তড়িঘড়ি কয়েক জন জেলাশাসকের বদলির নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত সেই বদলি-নির্দেশিকা কার্যকর করার কোনও খবর নেই প্রশাসনিক স্তরে। ফলে বদলির আওতায় থাকা জেলাশাসকেরা এখনও রয়েছেন স্বপদেই। অবশ্য শুক্রবারই ৪৪ জন ডব্লিউবিসিএস অফিসারের বদলির নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে নবান্ন। তাই আধিকারিক মহলে জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে।

বদলি নিয়ে কমিশনের বরাবরের অবস্থান, কোনও অফিসার যে জেলার বাসিন্দা সেখানে কিংবা একই জেলায় তিন বছর কর্মরত থাকলে তাঁকে বদলি করতেই হবে। এ ছাড়া কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে অতীতে শাস্তিমূলক বা পদ থেকে অপসারণের মতো পদক্ষেপ কমিশন করে থাকলে তাঁকেও ভোটের সঙ্গে যুক্ত কোনও দায়িত্বে রাখা চলবে না। গত মাসের শেষে কমিশন জানিয়েছিল, এমন লোকসভা কেন্দ্র থাকতেই পারে, যা দু’টি জেলার মধ্যে বিভক্ত। তাই খাতায়-কলমে এক জেলা থেকে পাশের জেলায় বদলি হলেও কার্যক্ষেত্রে কোনও অফিসার একই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থেকে যেতেই পারেন। আধিকারিক বদলির ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলিতেও যাতে সরকার গুরুত্ব দেয়, সে ব্যাপারেও রাজ্যকে সতর্ক করেছিল তারা। নিজেদের বদলি নীতি সংশোধনের বার্তা দিয়ে গত পাঁচ রাজ্যের ভোটের অভিজ্ঞতা-সহ বহু আমলাকে যে কমিশন বদলি করেছিল, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছিল তারা।

Advertisement

প্রশাসনের অন্দরের খবর, ঘটনাচক্রে তার পরেই হাওড়ার জেলাশাসককে বাঁকুড়ায় এবং হুগলির জেলাশাসককে পূর্ব বর্ধমানে বদলি করেছিল নবান্ন। একই ভাবে বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসক পদে থাকা অফিসারকে আনা হয়েছিল যথাক্রমে হাওড়া এবং হুগলির জেলাশাসক হিসেবে। এই নির্দেশিকাই এখনও কার্যকর হয়নি বলে দাবি। এ নিয়ে নবান্নের কোনও বার্তা মেলেনি।

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এ দিন ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের বদলির নেপথ্যে কমিশনের সাম্প্রতিক বদলি-নীতি ছিল অন্যতম কারণ। জেলাশাসকদের বদলিতে কেন একই যুক্তি কাজ করল না, তা নিয়ে বিস্মিত সংশ্লিষ্ট মহল। ৫ মার্চ রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে বৈঠক করবেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও কমিশনের বাকি কর্তারা। সেই বৈঠকে বদলি প্রসঙ্গ উঠবে কি না, কৌতূহলী আধিকারিকদের অনেকেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement