তাজপুরে বন্দর পরিকাঠামো গড়তে তাদের হাতেই রয়েছে প্রায় এক হাজার একর জমি। প্রকল্প এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ-পরিকাঠামো তৈরিতেও রাজ্যের অবস্থান ইতিবাচক। প্রকল্পের নির্মাতা সংস্থার নির্বাচন চূড়ান্ত হলে সেই কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রশাসন।
ফাইল চিত্র।
বঙ্গে শিল্প সম্মেলন আসন্ন। তাজপুর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি। এই অবস্থায় ওই সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে শনৈ শনৈ এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে বৈঠক হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নবান্নে গিয়ে এ দিন সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন আদানি গোষ্ঠীর
প্রতিনিধিও। বৈঠক নিয়ে কেউ সরাসরি মুখ খুলতে চাননি। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা আজ, শুক্রবার ফের বৈঠকে বসতে পারেন।
কোন কোন সংস্থা বা শিল্প গোষ্ঠী তাজপুরের সমুদ্রবন্দর গড়তে চায়, তা জানতে আগ্রহপত্র চেয়েছিল নবান্ন। সেই আগ্রহপত্র পেশ প্রক্রিয়ার বর্ধিত মেয়াদ ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ দিন পর্যন্ত খবর, দু’টি বড় সংস্থা এই ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে একটি সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই দু’টি সংস্থার মধ্য থেকে একটিকে বেছে নেওয়া হবে, না, আগ্রহপত্র দাখিলের সময়সীমা ফের বাড়ানো হবে— সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে শুক্রবার ফের বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, সেই বৈঠকেই কোনও একটা সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে। প্রশাসনের অনেকের ধারণা, শিল্প সম্মেলনের আগে সরকার এই বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে আগ্রহী।
রাজ্য সরকার আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, তাজপুরে বন্দর পরিকাঠামো গড়তে তাদের হাতেই রয়েছে প্রায় এক হাজার একর জমি। প্রকল্প এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ-পরিকাঠামো তৈরিতেও রাজ্যের অবস্থান ইতিবাচক। প্রকল্পের নির্মাতা সংস্থার নির্বাচন চূড়ান্ত হলে সেই কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রশাসন।