পার্থ এবং অর্পিতা দু’জনেই বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। ফাইল চিত্র।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আত্মীয়’ বলে আদালতে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অর্পিতার জীবনবিমার নথিতে পার্থকে অর্পিতার ‘আঙ্কল’ হিসাবে দেখানো হয়েছে বলে বুধবার কলকাতার বিশেষ আদালতে মামলার শুনানিতে দাবি করলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ‘কেলেঙ্কারি’র অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ ও মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ইডি দাবি করে আসছে, দু’জনের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক রয়েছে। চলতি অগস্ট মাসের শুরুতে আদালতে একটি শুনানিতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, অর্পিতার যে ৩১টি জীবনবিমা মিলেছে, তাতে নমিনি হিসাবে পার্থের নাম রয়েছে। বুধবারের শুনানিতে ইডির তরফে দাবি করা হয়, অর্পিতার করা জীবনবিমা সম্পর্কে জানতে জীবনবিমা সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ওই নথিতেই অঙ্কিতা পার্থকে নিজের ‘আঙ্কল’ হিসাবে নমিনি করেছেন। শুধু তাই নয়, অঙ্কিতার জীবনবিমার প্রিমিয়ামের বার্তা আসত পার্থেরই ফোনে। প্রাক্তন মন্ত্রীর ফোন পরীক্ষা করে তা জানা গিয়েছে বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা।
যদিও পার্থের আইনজীবী সুকন্যা ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, ‘‘জীবনবিমার নিয়ম অনুযায়ী, নমিনি কখনওই সুবিধাভোগী (বেনিফিসিয়ারি) নন।’’
প্রসঙ্গত, পার্থ এবং অর্পিতা দু’জনেই বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। এখন পার্থের ঠাঁই প্রেসিডেন্সি জেল। অন্য দিকে, অর্পিতাকে রাখা হয়েছে আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক আবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তাজনিত কারণে পার্থকে আদালতে হাজির না-হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন বিচারক। তাই বুধবার জেল থেকেই ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির ছিলেন পার্থ। জামিনের আবেদন করে তাঁর আইনজীবীদের দাবি, তাঁদের মক্কেলের বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত টাকা বা এলআইসি— কিছুই পাওয়া যায়নি। এমনকি, তদন্তে যে ভুয়ো সংস্থার কথা শোনা যাচ্ছে, তার মালিকানা বা শেয়ারও পার্থের নামে নয়। তা হলে জামিনে আপত্তি কোথায়? যদিও শেষমেশ পার্থকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।