ছবি: পিটিআই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে শুক্রবার। বিলের বিরোধিতা করেছেন বিশিষ্টজনেরাও। তবে তাঁদের আবেদন, প্রতিবাদ হোক শান্তিপূর্ণ উপায়ে। আইনের প্রতি সম্মান অটুট রাখার আর্জি জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি সংশোধিত আইনের বিরোধিতা করছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেকেই সিএবি এবং এনআরসি-র বিরোধী। পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ মানুষই, আমার মনে হয়, এর বিরুদ্ধে এককাট্টা। কিন্তু প্রতিবাদটা অনিয়ন্ত্রিত জনতার হাতে চলে গেলে তার তীক্ষ্ণতা হারাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয়, শান্তিপূর্ণ ভাবেই এই যুদ্ধটা জেতার চেষ্টা করা উচিত।’’ একই সুরে কবি জয় গোস্বামী জানান, এই আইনের প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিত। কিন্তু তা যেন শান্ত ও সংযত হয়।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনকে ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ বলেছেন লেখক আবুল বাশার। তাঁরও আর্জি, যাঁরা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা যেন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ভাবে আন্দোলন পরিচালনা করেন।’’ আন্দোলনকারীদের ‘কষ্টের’ শরিক হয়ে নাট্যব্যক্তিত্ব সোহিনী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সব সময় শান্ত থাকা যায় না। তবু আশা করব, দেশ ও সমাজের স্থিতাবস্থা অটুট থাকবে।’’
আরও পড়ুন: অশান্ত ত্রিপুরা, শ্বশুরবাড়ি যাত্রা বাতিল খড়দহের বধূর