আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় ভোট হবে জঙ্গলমহলে

নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ভোট হবে জঙ্গলমহলে। বুধবার রাতে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার শৈবাল বর্মন। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বৈঠকে শৈবালবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৬ ০১:৪০
Share:

নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ভোট হবে জঙ্গলমহলে। বুধবার রাতে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার শৈবাল বর্মন। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বৈঠকে শৈবালবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। জেলায় পর্যাপ্ত বাহিনীই থাকবে। জঙ্গলমহলে নিরাপত্তা খুব জোরদার করা হবে। ওই বৈঠকে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর, ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার সুখেন্দু হীরা প্রমুখ। ছিলেন জেলার রিটার্নিং অফিসাররাও (আরও)।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, জঙ্গলমহলের প্রত্যেকটি বুথে এক সেকশন করে সিআরপি থাকতে পারে। অর্থাত্‌ প্রতি বুথে থাকবে ৮ জন জওয়ান। অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। জঙ্গলমহলে কত কোম্পানি বাহিনী থাকতে পারে? বৈঠক শেষে শৈবালবাবুর জবাব, “এ নিয়ে কিছু বলব না। তবে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীই থাকবে। ওই এলাকায় সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করাতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সবই নেওয়া হচ্ছে।” জেলার পরিস্থিতি ভাল বলেই জানিয়ে দেন শৈবালবাবু। তিনি বুঝিয়ে দেন, জঙ্গলমহলেও ভাল ভাবে ভোট করার পরিস্থিতি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “জঙ্গলমহল সব সময়ই স্পর্শকাতর। ওই এলাকায় যে তুলনামূলক বেশি বাহিনী মোতায়েন হবে, বৈঠকেই তা স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার।” তবে কোথায় কত বাহিনী থাকবে সে ব্যাপারে বৈঠকে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি শৈবালবাবু। শুধু তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, জেলা প্রশাসনকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখে জঙ্গলমহল এলাকায় ভোট প্রস্তুতিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একটা বড় এলাকা জুড়েই রয়েছে জঙ্গলমহল।

Advertisement

জেলার ১৯টি আসনের মধ্যে ৬টি এই এলাকায়। আসনগুলো হল মেদিনীপুর, শালবনি, ঝাড়গ্রাম, বিনপুর, গোপীবল্লভপুর এবং নয়াগ্রাম। জঙ্গলমহল এলাকার বিধানসভা কেন্দ্রগুলোয় প্রায় দেড় হাজার বুথ রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, নয়াগ্রামে রয়েছে ২৬২টি বুথ, গোপীবল্লভপুরে ২৮৩টি, ঝাড়গ্রামে ২৫৪টি, বিনপুরে ২৮৩টি, শালবনিতে ৩০৩টি এবং মেদিনীপুরে ২৯৬টি। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ বৈঠক শুরু হয়। এ দিনের বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোট প্রস্তুতির নানা দিক উঠে আসে।

জেলা প্রশাসনের এক সূত্র জানাচ্ছে, ‘শ্যাডো জোনে’র বিষয়টিও বৈঠকে উঠে আসে। জেলা প্রশাসনের পদস্থ এক কর্তা জানিয়ে দেন, বেলপাহাড়ির মতো কিছু এলাকায় ‘শ্যাডো জোন’ রয়েছে। এই সকল শ্যাডো জোনে মোবাইলে সংযোগ মেলে না। তবে গত কয়েক মাসে নতুন কিছু মোবাইল টাওয়ার বসেছে। এ ক্ষেত্রে যোগাযোগ রেখে কাজ করার জন্য স্যাটেলাইট ফোন, পুলিশের আরটি মোবাইল, সিআরপির যে ব্যবস্থা রয়েছে তা এবং বন দফতরের যে কমিউনিকেশন চ্যানেল রয়েছে তা ব্যবহার করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement