Election Commission

করোনা আবহে ভোটের ‘ট্রায়াল রান’ উপনির্বাচন

করোনা পরিস্থিতিতে ভোট হলে কোথায় কতটা কী ভাবে করা যাবে, তা বুঝতে উপনির্বাচনকে পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করতে পারে কমিশন।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৩:৪১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

করোনা আবহে ভোট পরিস্থিতি বুঝতে ব্যবহার হবে বিধানসভার উপনির্বাচন! তেমনই ইঙ্গিত মিলছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১১টি রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বেশি সংখ্যক ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কারণ, দূরত্ব-বিধি মানতে বুথ বাড়ানো প্রয়োজন।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে ভোট হলে কোথায় কতটা কী ভাবে করা যাবে, তা বুঝতে উপনির্বাচনকে পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করতে পারে কমিশন। তেমনই চর্চা চলছে সংশ্লিষ্ট মহলে। করোনা সংক্রমণ রোধের অন্যতম শর্ত দূরত্ব-বিধি মানতে বুথে ভিড় কমানো প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে একটি বুথকে কয়েকটিতে ভাঙলে ভিড় কমতে পারে। ফলে বুথ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের সংখ্যা বাড়বে। উপনির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের এফএলসি বাড়ানো সেই যুক্তিকে আরও জোরালো করছে। বুথ যত বেশি হবে, তত ভোটকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। সঙ্গে শহরাঞ্চলে কী ভাবে কোথায় বুথ বাড়ানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত কমিশন আধিকারিকেরা। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে পুরো প্রক্রিয়া হবে।’’

২০১৯ সালে অক্টোবরের শেষে ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারীর মৃত্যুর কারণে আসনটি শূন্য হয়। মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কমিশন ফালাকাটা নির্বাচন আপাতত স্থগিত রাখার কথা জানায়। কয়েকদিন আগে ১১টি রাজ্যের উপনির্বাচনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ফার্স্ট লেভেল অব চেকিং (এফএলসি) বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সাধারণত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যালট ইউনিটের (বিইউ) এফএলসি ১২০% হয়। আর ভোটার ভেরিফায়েব্‌ল পেপার অডিট ট্রেল’-এর (ভিভিপ্যাট) এফএলসি একশো ১৩০% হয়। উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে হাতে সময় বেশি থাকে। তাই বুথ সংখ্যার নিরিখে এফএলসি ২০০% হয়। তা ৩০০% করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

Advertisement

উপনির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হলেও পূর্ণাঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অবশ্য এখনই প্রস্তুতি শুরু হয়নি। চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ লগ্নে ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। আর আগামী বছরের মে মাসের শেষ লগ্নে মেয়াদ শেষ হবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু এবং অসম বিধানসভার। জুনের গোড়া পর্যন্ত রয়েছে কেরল ও পুদুচেরির বিধানসভার মেয়াদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement