—ফাইল চিত্র।
বাংলার ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ল!
গত শুক্রবার, ৭ অগস্ট নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনীর কাজ শুরু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কাজ শুরু হবে আগামী সোমবার, ১০ অগস্ট থেকে। ২০২১-র জানুয়ারিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে দিতে চায় কমিশন। ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসের আগেই আগামী বিধানসভার জন্য ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে যাবে বলে কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। সে জন্য নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। তার পর ধারাবাহিকভাবে চলবে নাম তোলা ও বাদ দেওয়ার আবেদন গ্রহণ, শুনানি। ঠিকানা পরিবর্তন বা সচিত্র পরিচয়পত্র সংশোধনও সেই সময় করা যাবে। ভোটার তালিকা সংশোধনের তালিকায় অবশ্য বিহার, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের নাম নেই। এই ক’টি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কখন ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে বা পরে জানাবে কমিশন। সূত্রের ইঙ্গিত, বিহারে ভোট হওয়ার কথা অক্টোবর মাসে। চলতি করোনা আবহে তা সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে জল্পনা রয়েছে। ২০২১ –এ ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাডু এবং পুডুচেরিতে। বাংলায় গত বিধানসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল ১ মার্চ। নতুন সরকার গঠন হয়েছিল মে’র তৃতীয় সপ্তাহে। এবারও সেই নির্ঘন্ট বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন নবান্নের একাংশ।
যদিও করোনার সময়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুৱু করার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিতে পারে রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, নভেম্বরে খসড়া তালিকা প্রকাশ হলেও অগস্ট থেকেই বুথ পুনর্গঠন, বুথের পরিকাঠামো, অক্সিলিয়ারি বুথ তৈরি, ভোটার তালিকায় একই পরিবারের সকল সদস্য যাতে একই পার্ট নম্বরের মধ্যে থাকে সেই কাজ করতে হবে। একই ভোটারের একাধিক নাম, একাধিক স্থানে একই ভোটারের নাম ইত্যাদি সংশোধন করার ‘ডিডুপ্লিকেশন’ এর কাজও খসড়া তালিকা প্রকাশের আগেই করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। প্রশাসন এখন করোনা নিয়ে ব্যস্ত। ফলে ভোটার তালিকার কাজ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কমিশনকে বলা হবে।
আরও পড়ুন: ‘শৌচাগার হয়েছে, তাই সম্ভব লকডাউন’
কমিশন অবশ্য বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অগস্ট থেকে অফিসে বসেই খসড়া ভোটার তালিকা গুছিয়ে নেওয়ার কাজ হবে। তার সঙ্গে বড় কাজ হবে প্রতিটি বুথের একদফা করে পরিদর্শন। যে সব রাজ্যে ২০২১-এ ভোট নেই, সেখানে এই পরিদর্শনও আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছে কমিশন। তবে পশ্চিমবঙ্গসহ যে রাজ্যগুলিতে ভোট হবে সেখানে বুথের পরিকাঠামো সরেজমিনে দেখে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ এর ১ জানুয়ারি ১৮ বছর বয়স হবে এমন সবার নাম তোলার কথা যেমন বলা হয়েছে, তেমনই কারও নাম বাদ দেওয়ার আগে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতেও বলেছে নির্বাচন কমিশন।