Election Commission

ভোটে পুলিশ মোতায়েনে পৃথক পঞ্জি তৈরির নির্দেশ

কমিশন। আপাতত শুধু তথ্যপঞ্জিটুকুই সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশকে আদৌ ভোটের দিন বুথের ভিতরে কাজে লাগানো হবে কি না, তা নিয়ে কমিশন এখনও চুপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৩৮
Share:

ফাইল চিত্র।

কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল থেকে ইনস্পেক্টর পর্যন্ত সমস্ত কর্মী-অফিসারের ভোটকেন্দ্রিক নথি নিয়ে তথ্যপঞ্জি তৈরি করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। আপাতত শুধু তথ্যপঞ্জিটুকুই সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশকে আদৌ ভোটের দিন বুথের ভিতরে কাজে লাগানো হবে কি না, তা নিয়ে কমিশন এখনও চুপ।

Advertisement

কমিশন সূত্রের ইঙ্গিত, এত দিন পুলিশ কর্মীদের ভোটের ডিউটি দেওয়ার সময়ে নিজের বিধানসভা এবং কর্মস্থলের কেন্দ্রে ডিউটি দেওয়া হত না। কিন্তু অন্যত্র কোথায় কোন কর্মীর ডিউটি পড়বে, তা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ঠিক হত না। যদিও সাধারণ ভোটকর্মীদের কোন বুথে ভোট নিতে যেতে হবে তা ঠিক হত কম্পিউটারের মাধ্যমে। ভোটের দিনের ঠিক আগে সেই বুথের কথা কর্মীরা জানতে পারতেন। সম্প্রতি বিহারের নির্বাচনে সেখানকার পুলিশ কর্মীদের ক্ষেত্রেও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশ কর্মীদের জন্য বুথ নির্বাচন করেছিলেন মুখ্য নির্বাচন অফিসার। একেবারে নির্বিঘ্নে সেই নির্বাচন শেষ হয়েছে। এর পরে পশ্চিমবঙ্গ সহ আসন্ন

পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনেও পুলিশ কর্মীদের জন্য ‘ফোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস ডেটা’ সংগ্রহ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল থেকে ইনস্পেক্টর পর্যন্ত সমস্ত অফিসারের ভোটকেন্দ্রিক একগুচ্ছ তথ্য চেয়ে ডেটাবেস তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেক পুলিশ কর্মীর কাছে কেন এই তথ্য চাওয়া হচ্ছে তা নিয়ে পুলিশের একাংশের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, প্রত্যেক পুলিশ কর্মীর বিধানসভা, বুথের নাম ও নম্বর, ভোটার পরিচয়পত্র নম্বর, ভোটার তালিকায় কত নম্বরে কর্মীর নাম রয়েছে, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি জানাতে বলা হয়েছে। একই তথ্য রাজ্য পুলিশ কর্মীদেরও জমা দিতে হবে।

কলকাতা পুলিশ কর্মীদের একাংশ মনে করছেন, তাঁদের পোস্টাল ব্যালট সংগঠিত ভাবে নিয়ে নিতেই এই তথ্যপঞ্জি তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বহু পুলিশ কর্মী নিজের সঠিক তথ্য এখনও দিতে চাইছেন না। যদিও কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই এই তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে পোস্টাল ব্যালটের কোনও সম্পর্ক নেই।

নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিহার মডেলেই পাঁচ রাজ্যেও পুলিশ কর্মীদের তথ্য নিয়ে রাখা হচ্ছে। বিহারের মতোই অন্য রাজ্যগুলিতে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশ কর্মীদের বুথ নির্বাচন করা হবে। কোনও ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দ কাজ করবে না। তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ডেটাবেস তৈরি হলেও পুলিশ কর্মীদের বুথে ডিউটি দেওয়া হবে কি না, নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। এ বারেও তাই হতে পারে বলে কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের পুলিশ কর্মীদের বুথের বাইরে ডিউটি করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement