ফাইল চিত্র
দেশের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর থেকে সম্প্রতি তিন আধিকারিকের বদলি করা হয়েছে। তাঁদের বিকল্প হিসেবে নবান্ন ন’জন অফিসারের নাম প্রস্তাব করেছে। ওই নয় অফিসারের অতীত কাজের রেকর্ড নিয়ে সন্তোষজনক রিপোর্ট না এলে কমিশন ফের নতুন প্যানেল চাইতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে ওই তিন পদে নির্দিষ্ট অফিসার বসিয়ে দিতে পারে কমিশন।
সরকারি সূত্রের দাবি, অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মনের পরিবর্তে রাজ্যের তরফে শিলাদিত্য বসুরায়, বিজিত কুমার ধর, দেবল কুমার ঘোষের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। যুগ্ম সিইও অনামিকা মজুমদারের বিকল্প হিসাবে দেবকুমার নন্দন, শ্যামল মণ্ডল এবং অরিন্দম নিয়োগীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ডেপুটি সিইও অমুতজ্যোতি ভট্টাচার্যের পরিবর্তে অভীক চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ বারিক এবং সুনন্দ ভট্টাচার্যের নাম দিয়েছে নবান্ন। কমিশন চাইলে তিন জনের প্যানেল থেকে এক জন করে নাম নির্বাচন করতে পারে।
প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রস্তাবিত ন’জনের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক কর্তা এই নামগুলি কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার (পার) দফতরে পাঠিয়েছিলেন। সেই তালিকাটিই কমিশনে পাঠিয়েছে নবান্ন।
সিইও দফতরের প্রতিদিনের কাজ পরিচালনার জন্য এই তিন অফিসারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দ্রুত এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নির্বাচন সদন। সম্প্রতি স্মারকি মহাপাত্র এবং সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ — এই দুই আইএএস অফিসারকে সিইও দফতরে পাঠিয়েছে রাজ্য। তাঁদের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের যোগাযোগের বিষয়টিও নজরে রেখেছে কমিশন।