এই চিঠি পৌঁছনোর পর মনে করা হচ্ছে, খুব দ্রুত আইপিএস, আইএএস-সহ সরকারিকর্মীদের দ্রুত বদলি করতে পারে নবান্ন।
সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে পুলিশ-প্রশাসনের যে অধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এমনকি গত নির্বাচনে কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস কোনও পদক্ষেপ করে থাকলে, সে ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে কমিশনের সেই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরি এবং অসমেও নির্বাচন রয়েছে। ওই সব রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের কাছেও এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। এ রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২১ সালের ৩০ মে। তার আগেই ভোটপক্রিয়া শেষ করতে হবে। হাতে বেশি সময়ও নেই। চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। আগামী ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।
রাজ্য সফরে এসেছেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি কলকাতায় পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন। এখন তিনি উত্তরবঙ্গে। মূলত ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা রাখতে এবং প্রতিটি বুথকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে রাজ্য প্রশাসনকে পরামর্শ দিচ্ছেন। এরই মধ্যে দিল্লির নির্বাচন সদন থেকে এই চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কমিশন সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই রাজ্যে আসতে পারেন কমিশনের ফুল বেঞ্চও।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যে সব অফিসার নিজের জেলায় দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন, তাঁদের অন্যত্র বদলি করতে হবে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে। এ ছাড়া যে সব অফিসার নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, সে ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলেই আছি, অমিতের সভায় ঘোষণা ভুল’, বললেন হেমতাবাদের প্রফুল্ল
জানা গিয়েছে, গত নির্বাচনে যে সব অফিসারের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর পদক্ষেপ করেছিল, তাঁদের ভোটপ্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা চলবে না। অথবা একই পদে কেউ ৩ বছর কাজ করলে, তাঁদেরকেও অন্যত্র বদলি করতে হবে।
আরও পড়ুন: এগোতে হলে পিছোতে হবে, মঞ্চের রাজনীতির সরল ধারাপাত
এই চিঠি পৌঁছনোর পর মনে করা হচ্ছে, খুব দ্রুত আইপিএস, আইএএস-সহ সরকারিকর্মীদের দ্রুত বদলি করতে পারে নবান্ন। কমিশন সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই রাজ্যে আসতে পারেন কমিশনের ফুল বেঞ্চও।