নিহত কিশোর। — নিজস্ব চিত্র।
রেলে চাকরির লোভ! দাবিদার নাবালক ভাইকে খুন করার অভিযোগ উঠল দিদি ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেলের একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হল নাবালকের পচাগলা দেহ। কিশোরকে খুনের অভিযোগে তার দিদি লিজ়া কুমারী এবং তাঁর বন্ধু সোনু কুমারকে গ্রেফতার করেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটেলমেন্টের নতুন বাজার এলাকায় রেলের একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের গেট বন্ধ ছিল। সেখান থেকে পচা গন্ধ বার হচ্ছিল। স্থানীয়ের থানায় খবর দেন। পুলিশ পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে গিয়ে ভিতর থেকে কিশোরের দেহ উদ্ধার করে। তাদের প্রাথমিক অনুমান, দু’ থেকে তিন দিন আগে খুন করে দেহটি ওই পরিত্যক্ত ঘরে ফেলে রাখা হয়েছে। পরিবারের তরফে কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানানো হয়েছিল থানায়। এর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এ বার দেহ উদ্ধারের পর খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের বাবা রেলের কর্মচারী ছিলেন। চাকরি করতে করতেই তিনি বছর খানেক আগে মারা গিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর চাকরি তাঁর সন্তানদের মধ্যে এক জন পাবেন। পুলিশের অনুমান, অবিবাহিত থাকায় লিজ়া এখন বাবার চাকরি পেলেও পরে তাঁর ভাই সাবালক হয়ে সেই চাকরির দাবি জানাতে পারে। তখন লিজ়ার বিয়ে হয়ে গেলে তিনি চাকরির দাবি হারাতে পারেন। সেই কারণে ভাইকে লিজ়া খুন করেছেন বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘এক নাবালকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনাক্ত করে মৃতের দিদি-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’