ফাইল চিত্র।
গুজরাতের মোরবীতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে তাঁর উপস্থিতিতেই এমন ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। আর সেই ঘটনা দেখে সাবধানী হওয়ার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। সেই পদক্ষেপেই এ বার রাজ্যের সব ঝুলন্ত সেতুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করল নবান্ন। মূলত পার্বত্য এলাকাতেই এই ধরনের ঝুলন্ত সেতু রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া তো বটেই, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলায় এই ধরনের ঝুলন্ত সেতু রয়েছে।
সূত্রের খবর রিপোর্টে জানাতে বলা হয়েছে, কোন জেলায় কত সংখ্যায় ঝুলন্ত সেতু রয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা ঠিক কী? জেলা প্রশাসনকে দ্রুত এই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। গুজরাতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে দিকে তাকিয়েই প্রশাসনের এমন রিপোর্ট তলব বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে গুজরাতে মাচ্ছু নদীর উপর মোরবীতে আচমকা ভেঙে পড়ে ব্রিটিশ আমলের তৈরি ওই ঝুলন্ত সেতু। সেই সময় ওই সেতুতে শতাধিক মানুষ ছিলেন বলে দাবি। কিছু দিন বন্ধ রেখে সংস্কারের পর গত ২৬ অক্টোবর আবার ওই সেতু জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তার ৫ দিনের মধ্যেই এই বিপর্যয় ঘটে। অভিযোগ, এই সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি। রবিবার সন্ধ্যার বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
পশ্চিমবঙ্গে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করেই এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। মঙ্গলবারই পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ের রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য কেমন অবস্থা রয়েছে, তা জানতে বৈঠক ডেকেছেন। তবে, নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের রিপোর্ট তলবের সঙ্গে এই বৈঠকের কোনও যোগাযোগ নেই বলেই সূত্রের খবর। পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নবান্ন থেকে যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়। তার সঙ্গে পূর্তমন্ত্রীর বৈঠকের কোনও যোগ নেই।