রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)-র সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু (বাঁ দিকে)। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলায় আগে রাজ্য এবং রাজভবনকে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার ছিল শুনানি। ঘটনাচক্রে, তার পরেই বিকেলে রাজভবনে গেলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের উপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে চলে বৈঠক। কী নিয়ে বৈঠক, তা অবশ্য কোনও পক্ষই প্রকাশ করেনি। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনেই করা হচ্ছে পদক্ষেপ?
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের পর রাজভবনে যান ব্রাত্য। সঙ্গে শিক্ষাসচিব মণীশ। ঘণ্টাখানেক চলে বৈঠক। তার পরে দুই পক্ষই মুখে কুলুপ আঁটে। তার পরেই জল্পনা, তবে কি রাজভবন এবং বিকাশ ভবনের সম্পর্কের বরফ গলছে? উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সমাধান সূত্র কি মিলল?
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে জানিয়েছিল, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চলতি সঙ্কট কাটাতে সাহায্য করতে হবে। পাশাপাশি, পারস্পরিক মতভেদ দূরে সরিয়ে রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির দিকে নজর দেওয়ার জন্য রাজ্য এবং রাজ্যপাল, দু’পক্ষকেই উদ্যোগী হতে বলে শীর্ষ আদালত। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মৌখিক ভাবে এও জানায়, সার্চ কমিটির মাধ্যমেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শই মেনে আলোচনায় বসছে রাজভবন এবং বিকাশ ভবন? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।