ফাইল ছবি
২০১১ সালে সরকার প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি বিধায়ক এবং মন্ত্রী। বিভিন্ন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে শিক্ষা দফতরের মতো একটি দফতর সামলাচ্ছেন তিনি। সেই ব্রাত্য বসুর কাছে প্রশ্ন এসেছিল, ‘মন্ত্রিত্ব সামলানো কি কঠিন কাজ?’ ব্রাত্য হেসে জবাব দিলেন, ‘‘তাই তো মনে হয়। বিশেষত আমার হাতে এখন যে দফতরটি আছে, সেটি তো কঠিন বটেই।’’
তার পরেই প্রশ্ন আসে, ২০০৯ সালের পর থেকে কী ব্রাত্য বসুর জীবনটা একে বারে অন্য খাতে বইতে শুরু করল? তিনি অধ্যাপক, নাট্য নির্দেশক ছিলেন, তার পর? হঠাৎ সব বদলে গেল? ব্রাত্য বললেন, ‘‘সময়টা সম্ভবত ২০০৮। যে বছর আমি তৃণমূলের সভায় গিয়ে উপস্থিত হলাম। কিন্তু নিয়মিত আমার চলন দেখলে দেখা যাবে, ২০১১ সালের পরেও কিন্তু আমি নাটক লিখেছি। আমার কাজ থামেনি। ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে আমি ১০টা বা তার বেশি থিয়েটার তৈরি করেছি। ১৫টা বা তার বেশি নাটক লিখেছি। ৫০-এর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছি। অবশেষে সময় বার করে একটি ছবি নির্দেশনার কাজও করতে পেরেছি। সেই ছবি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি কাজটা চালিয়ে গিয়েছি।’’
এত কাজের মধ্যেও যে লেখার কাজ চালিয়েছেন, সে কথাও জানালেন ব্রাত্য। এর পরেই চলে এলেন শিল্পকর্মের সঙ্গে বাজারের যোগাযোগের এক তর্কে। তিনি বললেন, ‘‘কোনও কোনও শিল্পের বাণিজ্যিক ভাবে সফল হওয়ার চাহিদা না-ও থাকতে পারে। যে শিল্প বাণিজ্যিক সাফল্য না চেয়ে শুধু শৈল্পিক ভাবে উত্তীর্ণ হতে চাইছে, তার জন্য একটা বাতাবরণ দরকার হয়। ডিম ফাটানোর জন্য যেমন ৩৬ বা ৩৭ দিনের একটা তা লাগে, এ ক্ষেত্রেও তেমন একটা বাতাবরণ লাগে। একটা তানসেন পেতে গেলে একটা আকবরের দরকার হয়। এই বাতাবরণটা আমাদের সমাজে নেই।’’ সেই প্রশ্নের ফাঁকে ব্রাত্য ঢুকে পড়েন বাণিজ্যিক থিয়েটারের আলোচনায়, আসে তাঁর তৈরি করা তত্ত্ব কোম্পানি থিয়েটারের প্রসঙ্গও।