TMC

TMC on BJP: শুভেন্দুর নির্দেশেই চলছেন সুকান্ত! তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে বিজেপি-র অন্তঃকলহ

উল্লেখ করা হয়েছে, তথাগত রায়ের সাম্প্রতিক টুইটেরও। সম্পাদকীয়তে আনা হয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১২:০৩
Share:

ফাইল ছবি

ফের দলের মুখপত্রে বিজেপি-কে কটাক্ষ করল তৃণমূল। এ বার গেরুয়া শিবিরের অন্দরে সাম্প্রতিক অন্তঃকলহের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সমালোচনা করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘নির্দেশ’-এই চলছেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপি-র অন্তঃকলহ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। দলের একাধিক নেতা ‘হোয়াটসঅ্যাপ-বিদ্রোহ’-এ সামিল হয়ছেন। যার জেরে দলের রাজ্য কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। জেলা নেতৃত্বের রদবলকে কেন্দ্র করে একাধিক বিজেপি নেতা সরব হয়েছেন। মতুয়া প্রতিনিধি নেই, এই প্রসঙ্গ তুলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর-সহ পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। তিনি প্রকশ্যেই কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধি রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন। শনিবার এই ‘বিদ্রোহী’ নেতারা একটি বৈঠকও করেন। শনিবার বনগাঁর সাংসদ শান্তনুর সঙ্গে বৈঠকের পরে ‘বিদ্রোহী’রা দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি তুলেছেন। শুধু অমিতাভ ন‌ন, তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বৈঠক শেষে শান্তনু নাম না বললেও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিতাভর বিরুদ্ধে যত রাগ। সেই ক্ষোভে সামিল বর্তমান রাজ্য কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের অন্যতম মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার।

Advertisement

বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ এই কাজিয়ার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আর সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষোভ বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর। তাদের বিরুদ্ধে পোস্টার জেলায় জেলায়।’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারীর নির্দেশেই যে দলে রদবদল, তার ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘শুভেন্দু অধিকারী পদে না থাকলেও তাঁর নির্দেশেই সুকান্ত কাজ করছেন বলে তিনিও বিদ্রোহীদের হিট লিস্টে।’

উল্লেখ করা হয়েছে, তথাগত রায়ের সাম্প্রতিক টুইটেরও। সম্পাদকীয়তে আনা হয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। লেখা হয়েছে, ‘তাঁর নেতৃত্বে লোকসভায় বিজেপি সাফল্য পাওয়ার পর দলের কিছু নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বুঝিয়েছিলেন, বাংলায় বিজেপি-র ক্ষমতায় আসার কথা ছিল, আসেনি দিলীপ ঘোষের কারণে। বংলার গন্ধ না জানা নেতারা এই সব কূটকচালির করা নেতাদের কথায় ভুলে ছিলেন। বিধানসভায় তার ফল পেয়েছেন।’

Advertisement

ঘটনাচক্রে, এমন একটি সময় এই সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন দলের নেতাদের বাগ্‌যুদ্ধ থামাতে মাঠে নামতে হয়েছে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সাংবাদিক বৈঠক করে দলের নেতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতে হয়েছে হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement