নজরে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্র। —ফাইল ছবি
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্র এবং আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রে খবর, মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যকে আগামী সপ্তাহে তলব করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য আত্মীয়কে আগামী সপ্তাহের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এক আত্মীয়কে চলতি সপ্তাহে তলব করা হয়েছে।
ইডি-র দাবি, বেসরকারি বি.এড এবং ডি.এল.এড কলেজগুলির সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে যুক্ত মানিকের ছেলে শৌভিক। তাঁর সংস্থার সঙ্গেই ওই কলেজগুলির চুক্তি হয়। মোট ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার চুক্তি করে শৌভিকের সংস্থা। এ ছাড়াও, কোভিড অতিমারি চলাকালীন টালিগঞ্জের একটি সংস্থার সঙ্গে পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রায় ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার চুক্তি করা হয়। চুক্তিটি করেছিল ‘অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশন’। ইডি-র দাবি, এই সংস্থাটিও শৌভিকের।
আদালতে এ প্রসঙ্গে ইডি কিছু দিন আগেই দাবি করেছিল, তারা মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তির জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছে। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে ২০১৬ সালে। তার পরেও ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি আপডেট করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কী ভাবে মানিকের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ইডি-র আতশকাচের নীচে সেই জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও। সূত্রের খবর, সে বিষয়ে মানিকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
মানিকের স্ত্রী-পুত্র ছাড়াও ইডি তাঁর ভাই, জামাই ও অন্যান্য আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। তাঁদের অ্যাকাউন্টও টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।
তবে ইডি তলব করলেও মানিকের ছেলে, স্ত্রী কিংবা অন্যান্য সদস্য আসবেন কি না, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ এর আগে শৌভিককে ডাকা হয়েছিল। তিনি ইডি-র সঙ্গে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে এর পরেও সহযোগিতা না করলে আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।