গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
বাংলায় চালু রেশন কার্ডের সংখ্যা কত? তার হিসাব জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই খাদ্য দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে ইডি। কিন্তু সে চিঠির জবাব এখনও না আসায় আরও এক বার চিঠি পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন ইডির তদন্তকারীরা।
রাজ্যে রেশন দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। যে মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রেহমান-সহ অনেকেই। তবে তদন্ত এখনও পুরোদমে চলছে। ইডি সূত্রে খবর, রেশন মামলার তদন্তের প্রয়োজনেই রাজ্যের রেশন কার্ড সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছে তারা।
খাদ্য দফতরের কাছে ইডির প্রশ্ন, রাজ্যে অ্যাক্টিভ রেশন কার্ড বা চালু রেশন কার্ড কতগুলি রয়েছে। অর্থাৎ, যে সমস্ত রেশন কার্ডে নিয়মিত রেশন তোলা হয়, তার সংখ্যা কত? এ ছাড়াও ইডি জানতে চায় রাজ্যে ২০১৯ সালের আগে কত রেশন কার্ড ছিল এবং এখন কত হয়েছে? ইডির তৃতীয় প্রশ্ন রেশন কার্ড ডিজিটালাইজ়ড হওয়ার সময় কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে?
ইডি সূত্রে খবর, এই সমস্ত প্রশ্নের মাধ্যমে তারা জানতে চাইছে, রেশন দুর্নীতিতে রেশন কার্ডের মাধ্যমেও কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ইডির গোয়েন্দারা দেখেছিলেন, ভুয়ো চাষি দেখিয়েও দুর্নীতি হয়েছে। যে চাল বা আটা দেওয়াই হয়নি, তা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। আবার মিলমালিকদের কাছ থেকে ডিলারদের কাছে রেশন পাঠানোর ক্ষেত্রেও হয়েছে কারচুপি। প্রতি লেনদেনে ১০ শতাংশ করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে রেশন। তাই ইডি জানতে চাইছে ভুয়ো রেশন কার্ডের মাধ্যমেও এ ভাবে অতিরিক্ত রেশন তোলা হয়েছে কি না।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ইডি জানতে চাইছে, মৃত্যুর পরে কোনও ব্যক্তির রেশন কার্ড কি নিয়ম মেনে বাতিল করা হচ্ছে, না কি সেই রেশন কার্ডের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে রেশন তোলা চালু রয়েছে। পাশাপাশি সক্রিয় রেশন কার্ডের সংখ্যা জানতে পারলে রাজ্যে রেশনের চাহিদা ঠিক কত, তা-ও জানা যাবে বলে মনে করছে তারা। তবে আপাতত খাদ্য দফতরের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় তারা।