(বাঁ দিকে) আনিসুর রহমান। বারিক বিশ্বাস (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে এ বার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বারিক বিশ্বাসকে তলব করল ইডি। বারিককে একা নয়, রেশন মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানের আত্মীয় মুকুল রহমান এবং দেগঙ্গায় তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমানকেও ডাকা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। ইডি সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল ইডি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক চালকলে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তালিকায় ছিল দেগঙ্গায় মুকুলের বাড়ি এবং চালকল। পাশাপাশি, বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছিল ইডি। তাঁর ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার ৯ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা। রাতে বারিকের ফ্ল্যাট ছাড়ার সময় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। শুধু বারিকের ফ্ল্যাটে নয়, একযোগে তাঁর চালকলেও হানা দিয়েছিল ইডি।
এক দিকে, ইডির দল যখন বারিকের বাড়ি এবং চালকলে তল্লাশি চালাচ্ছিল, তখন ইডির অন্য দল পৌঁছে যায় দেগঙ্গায়। বাকিবুরের আত্মীয় মুকুলের বাড়ি এবং চালকলে তল্লাশি চালায় তারা। প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান শেষে বাড়ি থেকে দু’টি মোবাইল তদন্তের কারণে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ ছাড়া বেশ কিছু নথিপত্র এবং ১৩ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করে তারা।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি ইতিপূর্বেই গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বাকিবুরও গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুরের ব্যবসায়িক কারবার অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হত দেগঙ্গা থেকে। মনে করা হচ্ছে সেই সূত্র ধরেই তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। তার পরই বারিক, মুকুল এবং আনিসুরকে ডেকে পাঠাল তারা। ইডি অভিযান নিয়ে মুকুলের দাদা তথা তৃণমূল নেতা আনিসুর জানিয়েছিলেন, ইডির অফিসারদের সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়েছে। তদন্তকারীরা যা নথিপত্র চেয়েছেন, তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সর্ব স্তরে সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামী দিনেও করা হবে।” এখন দেখার, ইডির তলবের পর তাঁরা হাজিরা দেন কি না।