রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। —ফাইল চিত্র।
কয়লা পাচারকাণ্ডে এ বার রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী ১৯ জুন তাঁকে দিল্লির ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। কয়লা পাচার মামলায় বৃহস্পতিবারই ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইডি সূত্রে খবর, মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়ে দিল্লি হাই কোর্ট তদন্তকারী সংস্থাটিকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, তলব করার অন্তত ১৫ দিন আগে নোটিস পাঠাতে হবে। সেই মতো হাতে সময় রেখেই তাঁকে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি। ঘটনাচক্রে, কয়লা পাচার মামলাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রুজিরাকে তদন্তকারী সংস্থার কলকাতার দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই তদন্তকারীরা রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে মেল করে তাঁর সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু ইডি সূত্রটির দাবি, সেই মেলগুলির কোনও উত্তর দেননি মলয়। তৃতীয় বার নিজেই মেল করেন তিনি। সেই মেলে মলয় ওই সময় (১৯ জুন) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডিকে সম্মতি দেন। কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বার দিল্লিতে ডেকে পাঠানোয় মলয় দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ইডি দিল্লি হাই কোর্টে পাল্টা অভিযোগ তুলে জানায়, ন’বার সমন পাঠানো সত্ত্বেও সাড়া না দিয়ে অপরাধ করেছেন মলয়।
দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মা এই মামলায় দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে জানান, ইডি মলয় ঘটককে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠাবে। তবে হাজিরার দিনের ১৫ দিন আগে সমন পাঠাতে হবে। আগে যে সমন পাঠানো হয়েছে, তাতে সাড়া না দেওয়ার প্রেক্ষিতে ইডি কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা নেবে না। মলয়ের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, রাজ্যের আইনমন্ত্রী হওয়ার জন্য মলয় প্রবল ব্যস্ত থাকেন। বিচারপতি শর্মা ইডিকে মলয়ের ব্যস্ত কর্মসূচির দিকটি মাথায় রাখতে বলেন। একই সঙ্গে মলয়কে দিল্লিতে এসে তদন্তে সহযোগিতা করার কথাও বলেন। মলয়ের আইনজীবীরা মন্ত্রীকে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানিয়েছিলেন। এই আর্জির বিষয়টি অবশ্য এখনও দিল্লি হাই কোর্টে বিচারাধীন। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর এই কয়লা পাচার মামলাতেই মলয়ের সরকারি বাসভবন-সহ একাধিক বাড়ি এবং অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।