Ration Scam Case

জ্যোতিপ্রিয়ের সূত্রে রেশন-তদন্তে এ বার নেতাজি নগরের আবাসনে ইডি, চলছে তল্লাশি

নেতাজি নগর এলাকায় একটি আবাসনে থাকেন শান্তনু ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে গিয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:০৪
Share:

নেতাজি নগরের আবাসনে ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সূত্রে আরও এক জনের বাড়িতে ইডি। শান্তনু ভট্টাচার্য নামের ওই ব্যক্তির ফ্ল্যাটে বৃহস্পতিবার গিয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, শান্তনু পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। রেশন সংক্রান্ত মামলায় তাঁর যোগ থাকতে পারে। এর আগেও তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সে দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি সিল করে দিয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

নেতাজি নগর এলাকায় একটি আবাসনের অষ্টম তলার ফ্ল্যাটে থাকেন শান্তনু। গত বৃহস্পতিবার জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে যখন ইডি তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থার একটি দল গিয়েছিল শান্তনুর ফ্ল্যাটেও। কিন্তু তাঁকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ইডি বাড়ি সিল করে স্থানীয় থানায় সে বিষয়ে জানিয়ে এসেছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ আবার শান্তনুর ফ্ল্যাটে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শুরু হয়েছে তল্লাশি। রেশন ‘দুর্নীতি’ সংক্রান্ত নথি এই ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রেশন ‘দুর্নীতি’ নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় সিপি জেনা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁকে একটি নির্দিষ্ট সংস্থার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সূত্রেই উঠে এসেছিল শান্তনুর নাম। শান্তনু ওই সংস্থার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। সিপি জেনাকে নিয়ে সে দিনই শান্তনুর ফ্ল্যাটে গিয়েছিল ইডি। তাঁকে সে দিন পাওয়া যায়নি।

Advertisement

মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। গভীর রাতে মন্ত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু আদালতে সে দিন মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে ইডি হেফাজতে যান মন্ত্রী। জ্যোতিপ্রিয়ের পাশাপাশি, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অমিত দে, তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। অভিজিতের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল একটি মেরুন ডায়েরি, যা ইডির তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। অমিত এবং অভিজিৎকে একাধিক বার সল্টলেকে ইডি দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর ইডি সূত্রে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement