মাইকেল নগরে লটারির একটি গুদামে হানা ইডির। নিজস্ব চিত্র।
লটারির মাধ্যমে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। আর সেই মামলায় এ বার কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
বৃহস্পতিবার সকালে ইডির আধিকারিকেরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে লেকটাউন এবং উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, মাইকেল নগরে লটারির একটি গুদামে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইডির আধিকারিকেরা মনে করছেন, এই ঘটনার সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগ রয়েছে। এই প্রতারণার জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তার তদন্ত হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
দিল্লির সদর দফতর থেকে ইডি আধিকারিকেরা শহরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তদন্তকারীরা বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে লটারি প্রতারণা মামলার যোগসূত্রের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন। ইডি সূত্রে খবর, এয়ারপোর্ট সংলগ্ন মাইকেল নগরে লটারির একটি গুদামে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০২৩ সালের অক্টোবরে লটারির বেআইনি টাকার যোগসূত্র খুঁজতে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে একটি লটারি সংস্থার ছাপাখানা এবং গুদামে তল্লাশি অভিযান চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সেই সময় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, প্রকৃত পুরস্কারপ্রাপকদের বঞ্চিত করে ওই সংস্থা পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ ওঠে। এমনকি প্রভাবশালী যোগের তত্ত্বও প্রকাশ্যে আসে। এ বার লটারিতে আর্থিক প্রতারণার মামলায় তল্লাশি অভিযানে নামল ইডি।