ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকেছে দিল্লি। বৃহস্পতিবার সকালে। ছবি: পিটিআই।
গত বেশ কয়েক বছরের মতো এ বারও পারদ পতন শুরু হওয়ার সঙ্গেই ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিল্লি। বুধবারের চেয়েও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বৃহস্পতিবার। বুধবার ওই শহরে বাতাসের গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ছিল ৩৭০। বৃহস্পতিবার সকালে এই গুণমান আরও খারাপ হয়ে ৪৩২ হয়েছে। আগের তুলনায় কমেছে দৃশ্যমানতাও। ফলে দেশের রাজধানীতে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সকালেই বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, কুয়াশার কারণে কিছু উড়ান দেরিতে ছাড়তে পারে।
নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই দিল্লির বাতাসের গুণগত মান খারাপ হতে শুরু করেছিল। উদ্বেগ বৃদ্ধি করছিল আনন্দ বিহার, দ্বারকা, আরকে পুরম, জাহাঙ্গীরপুরী ইত্যাদি এলাকার বাতাসের গুণমান। বৃহস্পতিবার সকালে এই প্রতিটি জায়গায় বাতাসের গুণগত মান ৪৫০ ছাড়িয়েছে, যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। পাশাপাশি, রাজধানীর পারদপতনও শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত বৃহস্পতিবারই দিল্লির শীতলতম দিন।
কম দৃশ্যমানতার কারণে মঙ্গলবার রাতে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে তিনটি দিল্লিগামী উড়ান বাতিল করতে হয়। বেশ কয়েকটি উড়ানের সময়সূচিও বদলানো হয়। এমনকি, ধোঁয়াশার কারণে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উড়ান লুধিয়ানায় অবতরণ করতে পারেনি। শেষমেশ তাঁর বিমান অমৃতসরে নামে। বুধবার ধোঁয়াশায় ঢেকেছিল দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়েও। যার জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে আসে। রাস্তায় চলাচলের জন্য ‘ফগ লাইট’-এর সাহায্য নিতে হয় গাড়িচালকদের।
যদিও দীপাবলির আগে ও পরে দূষণ রোধের জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছিল দিল্লি সরকার। গত মাসের শেষেই মুখ্যমন্ত্রী অতিশী এবং পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই দূষণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। দূষণ ঠেকাতে ৯৯টি দলও গঠন করা হয়। ২০০টি ‘অ্যান্টি স্মগ গান’ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ত দফতর। দিল্লি পুরনিগমের পাশাপাশি দূষণ রোধে কোমর বেঁধে নামে এনসিআরটিসি এবং দিল্লি মেট্রোও। তার পরেও অবশ্য শীতের আগে দিল্লির ধোঁয়াশায় ভরা সেই ছবিটি বদলানো গেল না।