সারদা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রজত মজুমদার। ফাইল চিত্র।
শুক্রবারে রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা প্রসঙ্গে একইসঙ্গে দুই বিচারপতির মন্তব্য ছিল, “এটা সারদা-নারদা না হয়ে যায়।”
২০১৪ সালে সারদা মামলার তদন্তের ভার সিবিআই হাতে নেওয়ার পরে আট বছর অতিক্রান্ত। বিনিয়োগের নামে ভুল বুঝিয়ে বহু সাধারণ মানুষের টাকা সারদা-সহ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কর্তারা নিয়ে আত্মসাৎ করার পরে এখনও টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় অনেকে। কিন্তু, এত বছর কেটে যাওয়ার পরে সারদা তদন্ত অতলে তলিয়ে গিয়েছে, এমন ধারণাই জনমানসে তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, অর্থলগ্নি সংস্থার সেই সব টাকা আত্মসাৎ করে দিব্যি সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রভাবশালীদের একাংশ। শুধু অর্থলগ্নি সংস্থার কর্তারাই শুধু জেলে রয়েছেন।
এই অবস্থায়, বিশেষত শুক্রবার দুই বিচারপতির ওই পর্যবেক্ষণের মধ্যেই সারদা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রজত মজুমদারকে শুক্র ও শনিবার দু'দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ বার সারদা কাণ্ডে জড়িত অন্য প্রভাবশালীদেরও নতুন করে আবার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর।
সারদা নিয়ে সিবিআইয়ের করা মূল মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রজত। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। রজত শাসকদলের রাজ্যের সহ-সভাপতি এবং সারদা গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
ইতিমধ্যেই রজতের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত বা সিজ় করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। দু'দিন তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর বয়ানও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের দাবি, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় আমানতকারীদের জমা রাখা টাকা লুটের ঘটনায় একাধিক প্রভাবশালী যোগ রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এখন আবার একে একে তাঁদের ডাক পড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।