পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের! ইডি সূত্রে খবর, এই সম্পত্তি মূলত রয়েছে বীরভূমে। এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমেরই বোলপুরে একটি বাড়ির হদিস পেয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, পার্থের আরও অন্তত ৫টি সম্পত্তি রয়েছে সেই বোলপুরেই।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের পার্থের ওই ৫টি সম্পত্তি মূলত জমি। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। তবে এই সম্পত্তিও পার্থের নিজের নামে নয়। ইডি সূত্রে খবর, বোলপুরের এই পাঁচটি সম্পত্তির নথিতে নাম রয়েছে পার্থ-ঘনিষ্ঠের। ঠিক যেমন পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে সম্পত্তির হদিস পেয়েছিল ইডি।
পার্থের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘বান্ধবী’ অর্পিতার নামে একাধিক ফ্ল্যাট এবং বাড়ির খোঁজ পেয়েছিল ইডি। অর্পিতারই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ৪৯.৮০ কোটি টাকার পাহাড়। পাশাপাশি, ৪ কোটির সোনা, কিছু জীবন বিমাও পাওয়া গিয়েছিল অর্পিতার নামে। যাতে নাম ছিল পার্থেরও। এই সব সম্পত্তিরই একটি ছিল বীরভূমেরই বোলপুরে। অর্পিতার নামে ‘অপা’ নামের একটি বাড়ির সন্ধান পায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর, সম্প্রতি পার্থের যে সম্পত্তির হদিস তারা পেয়েছে, সেগুলির নথিতেও রয়েছে পার্থ-ঘনিষ্ঠের নাম। ইডি সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনে পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটার-সহ বেশ কয়েক জনকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে তারা।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পার্থকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেটা ছিল ২০২২ সালের জুলাই মাস। গ্রেফতারির আগে এবং পরে পার্থের ‘বান্ধবী’ বলে পরিচিত অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল টাকার পাহাড়। এর মধ্যে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটির বেশি এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়। এ ছাড়া ওই দুই ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি মুদ্রা এবং সোনাও উদ্ধার করে ইডি। এই সমস্ত সম্পত্তি এবং সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। যা আদতে অর্পিতার নামে থাকা পার্থের সম্পত্তি বলেই অনুমান ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এই সম্পত্তির সঙ্গে সাম্প্রতিক পাওয়া সম্পত্তির মূল্য জুড়লে আরও বাড়বে এই তথাকথিত পার্থ-ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণ।
উল্লেখ্য, এ যাবৎ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মোট ১৩৫ কোটি টাকার নগদ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। রাজ্যে প্রাথমিক এবং নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩৬৫.৬০ কোটির সম্পত্তি।