শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
তৃতীয় বার গ্রেফতার হলেন শাহজাহান শেখ। প্রথমে রাজ্য পুলিশ, তার পরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এ বার তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসহযোগিতার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে।
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অবশ্য ইডির গ্রেফতারির আগে থেকেই ছিলেন জেলে। চলতি সপ্তাহেই তাঁর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পর থেকে বসিরহাটের জেলে রয়েছেন শাহজাহান। শনিবার তাঁকে জেলের ভিতরেই জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। বসিরহাট আদালতের কাছ থেকে সেই অনুমতি পেয়ে দুপুরেই শাহজাহানকে জেরা করতে গিয়েছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। কিন্তু বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ইডির তরফে।
ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তেই শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শাহজাহানকে। কিন্তু সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার কাছ থেকে সে ব্যাপারে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
রেশন দুর্নীতি ছাড়াও শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও একটি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ইডি। তদন্তে তারা জানতে পেরেছে ভেড়ির মাছ আমদানি রফতানির ব্যবসাতেও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন শাহজাহান। এ ছাড়া ইডির আইনজীবীর দাবি, শাহজাহানের ৩২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার সম্পত্তিরও হদিস পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দারা এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির উৎসও জানতে চান। কিন্তু শাহজাহান এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব না দেওয়াতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
তবে ইডি গ্রেফতার করলেও শাহজাহান আপাতত ইডি হেফাজতে যাচ্ছেন না। শনিবার তাঁকে ফের অ্যারেস্ট করেছে ইডি। অর্থাৎ, শাহজাহানকে গ্রেফতার বলে দেখানো হয়েছে। আপাতত জেলেই থাকবেন তিনি। তবে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে ইডির।