অনুব্রত গ্রেফতারের আট মাস পরে ধৃত সুকন্যা মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় সাড়ে আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত-কন্যাকে। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেন। তার পরই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর জানতে সুকন্যাকেও তলব করেছিল ইডি। গত মার্চ মাসেই তাঁকে এক বার তলব করা হয়। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ান। তার আগের বার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা বেশ কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। তৃতীয় বারও তিনি ইডির তলব এড়ান। হাজিরা এড়ানোর কারণ হিসাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়, সুকন্যা শারীরিক ভাবে অসুস্থ।
গত বছর অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারা দাবি করে, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে কেষ্ট-কন্যার কাছে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই (যিনি এখন ইডি হেফাজতে) দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবা হয়।