কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে ফের হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। বৃহস্পতিবারই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত আর একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ মৌখিক নির্দেশ দিয়ে জানায়, এফআইআর-এর ভিত্তিতে এখনই ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।
গত শুক্রবার সন্দেশখালির যে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডি অভিযানে গিয়েছিল, সেই শাহজাহান শেখের বাড়ির এক কর্মচারী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেন। শাহজাহানের ওই কর্মচারীর অভিযোগ, কোনও বৈধ তল্লাশি পরোয়ানা ছাড়া তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসে তালা ভেঙেছেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও দায়ের করেন শাহজাহানের কর্মচারী। ন্যাজাট থানায় সেই অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পাশাপাশি, ন্যাজাট থানায় আরও দু’টি এফআইআর হয়। যার মধ্যে, একটি করে ইডি। পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইডির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের কাছে ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিয়োও জমা দেয় ইডি। অন্য দিকে, ঘটনাস্থল ঘুরে এসে পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়ো মোটো) অভিযোগ দায়ের করে। প্রতিটি অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
শুক্রবার রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় তদন্তের সূত্রে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তবে সেই বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। অনেক ক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কারও সাড়া মেলেনি। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেই বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সেই সময়েই বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল নেতার অনুগামী পরিচয় দিয়ে ইডি আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জনওয়ানদেরও ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর করা হয়। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। এর পর ইডি আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়িতে। সেই সময়েই তিন ইডি আধিকারিক জখম হয়েছেন বলে জানা যায়।